চলতি সপ্তাহেই শীতের ব্যাটে চার-ছয়
নিম্নচাপ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় শীতের চড়া মেজাজে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে ঠিকই। তবে নিম্নচাপের বাউন্সারে উত্তুরে হাওয়া এ বার আর থমকে যাবে না বলেই আশা করছেন আবহবিদেরা। তাঁদের পূর্বাভাস, পরপর কয়েকটি নিম্নচাপে খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও কয়েক দিনের মধ্যেই শীত ব্যাট চালাতে শুরু করবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। এবং চার-ছয় দেখা যাবে চলতি সপ্তাহেই।
কয়েক দিন আগেই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। তার দাপটে উত্তুরে হাওয়ার গতি আবার থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন আবহবিদেরা। চলতি মরসুমেই ঘূর্ণিঝড় নীলম এবং তার পরের একটি নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তুরে হাওয়ার সেই দুর্দশাই হয়েছিল। তবে এ বারের নিম্নচাপের ক্ষেত্রে আশঙ্কা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর রবিবার জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এ বারের নিম্নচাপটির আর তেমন প্রভাব পড়বে না। বরং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা ও সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গে শীতের মেজাজ চড়তে পারে।
১০ বছরের মধ্যে এ বারের নভেম্বরই ছিল শীতলতম। শুক্র ও শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলতি সময়ের স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম ছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়ে হয় ১৫.২ ডিগ্রি। এটাও অবশ্য স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে জেলাগুলিতেও। তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি ওই নিম্নচাপের কারণেই।
শীতের শহরে। রবিবার দেশকল্যাণ চৌধুরীর তোলা ছবি।
তবে তা এর চেয়ে বেশি বাড়বে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তুরে হাওয়া আর বিশেষ বাধা পাবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাবে। তার পরেই কলকাতা ও সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গে শীতের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলাগুলিতে অবশ্য ইতিমধ্যেই তা তৈরি হয়ে গিয়েছে।
দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপটি এ দিন দক্ষিণে সরেছে। ফলে অন্ধ্র, তামিলনাড়ু ও কেরলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার প্রভাব পূর্ব ভারতে পড়ার পূর্বাভাস নেই।
নিম্নচাপ সরে যাওয়ায় শীতের রাস্তা পরিষ্কার হচ্ছে। অন্য দিক থেকে উত্তুরে হাওয়ার শক্তি বাড়াচ্ছে কাশ্মীরে ধেয়ে আসা নতুন একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। উত্তর ভারতে একের পর এক ছক্কা মারছে শীত। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, কাশ্মীরের নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আজ, সোমবারের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পঞ্জাব ও হরিয়ানায় তাপমাত্রা আরও দু’ডিগ্রি কমে যেতে পারে। ওই দু’রাজ্যেই এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পাঁচ ডিগ্রির কাছাকাছি। সব থেকে কম তাপমাত্রা ছিল রাজস্থানের চুরুতে, ৩.৯ ডিগ্রি। আবহাওয়া দফতরের খবর, সাধারণ নিয়মেই উত্তর ভারতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার প্রভাব পড়ে মধ্য ও পূর্ব ভারতে। সক্রিয় উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা কমতে থাকে দ্রুত। তবে রবিবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় সমভূমিতে উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় থাকলেও দক্ষিণবঙ্গ ও মধ্য ভারতে তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হয়নি। কাল, মঙ্গলবারের পরে তাপমাত্রা ফের ১৪ ডিগ্রির নীচে নেমে যেতে পারে। শীতের ব্যাটে রান আসবে তখনই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.