|
|
|
|
সক্রিয় রাহুলকেই গুরুত্ব চিন্তন শিবিরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এত দিন তাঁর সম্পর্কে বলা হত, তিনি সক্রিয় নন। সচরাচর মুখ খোলেন না। সংসদে কখনও-সখনও আসেন। এলে শেষ বেঞ্চে বসেন সচিন পায়লট বা দীপেন্দ্র হুডাদের সঙ্গে।
কিন্তু দিন বদলাতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে যে তিনি সক্রিয় হচ্ছেন, সেটা ভাল ভাবেই বুঝতে পারছে তাঁর বিরোধীরা। তবে প্রকাশ্যে তিনি এখনও অনেকাংশেই নীরব। কিন্তু দলীয় ফোরামে তিনি রীতিমতো যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি শুরু করেছেন। নিয়মিত বসছেন দিল্লির গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসেরই এক সাংসদের বাসভবনে। সেটাই এখন তাঁর ‘ওয়ার-রুম’। প্রায় সন্ধ্যাবেলায় সেখানে জয়রাম রমেশ থেকে মধুসূদন মিস্ত্রিদের মতো নেতাদের নিয়ে তিনি কৌশল রচনার বৈঠক করছেন।
অর্থাৎ, মানসিক ভাবে ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছেন রাহুল গাঁধী।
পোড় খাওয়া এক শীর্ষ কংগ্রেস নেতার মন্তব্য, রাজনীতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি জানেন? কখন ঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং কখন জেগে উঠে যুদ্ধ করতে হবে সেই সময়জ্ঞান! এটাই কোনও দলের বড় শক্তি।
রাহুল এখন সেই সময়জ্ঞানটাই দেখাচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
সর্বশেষ খবর, ১৮-২০ জানুয়ারি জয়পুরের বিড়লা অডিটরিয়ামে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির হতে চলেছে। তার পর ২০ তারিখেই এআইসিসি অধিবেশন হবে। চিন্তন শিবিরের পর এ ভাবে এআইসিসি অধিবেশন এই প্রথম। সেখানে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা না হলেও পরের লোকসভা নির্বাচনে তিনিই যে দলের মুখ হবেন, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হবে। সংগঠনে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার ঘোষণাও হতে পারে। দলের অনেকেই মনে করেন, রাহুল গাঁধী যদি সক্রিয় হন, তা হলে আনুষ্ঠানিক পদ ছাড়াই তাঁর যথেষ্ট গুরুত্ব থাকবে। মনে করা হবে যে, তিনিই দলের প্রধান মুখ।
রাহুল কী ভাবে সক্রিয় হচ্ছেন, তার প্রতিফলন ঘটেছে সম্প্রতি সংসদের অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। বিজেপি যখন সরকারের ভর্তুকি নগদে হস্তান্তরের প্রকল্পের বিরোধিতা করছে, গুজরাত নির্বাচনের মুখে সেটির ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে, সেই সময় কমিটির বৈঠকে পাল্টা আক্রমণাত্মক হয়েছেন খোদ রাহুল। বিজেপিকে এক হাত নিয়ে রাহুল বলেছেন, লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো নেতা যখন সরাসরি ভর্তুকির অর্থ গরিবদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন, সেই সময় বিজেপি কেন শুধু রাজনীতি করবে বলে এর বিরোধিতা করছে?
শুধু তাই নয়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর রাহুল দিল্লিতে রাজনৈতিক সম্মেলনও ডেকেছেন। দেশের যে ১৬টি রাজ্যের ৫১টি জেলায় নগদে হস্তান্তরের প্রকল্প রূপায়িত হবে, সেই সব জেলার দলীয় সভাপতিদের তিনি বলবেন, এটি নিয়ে পুরোদমে প্রচারে নামতে। অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশকেও সেই সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে বলছেন রাহুল। টিম-রাহুলের সদস্য জয়রাম ইতিমধ্যেই রাজ্যে-রাজ্যে ঘুরে এই প্রচার শুরু করেছেন। রাহুলকে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|