|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
|
আমি স্কুলে নতুন কিছু নিয়ে গেলেই বন্ধুরা তা কেড়ে নেয়। মিস তাদের কিছু না বলে, আমাকেই বকুনি দেন। কী করব?
সোহম রায়। তৃতীয় শ্রেণি, ডব্লিউ ডব্লিউ এ কাশীপুর ইংলিশ স্কুল, দমদম
সোহম, তোমার জিনিস রক্ষা করা তো তোমাকেই শিখতে হবে। স্কুলে যখন নতুন জিনিস তোমার বন্ধুরা নিয়ে নেয়, তখন যতটা পারো স্কুলে নতুন জিনিস নিয়ে যেয়ো না। আর দিদিমণিদেরই বারে বারে বলতে হবে, কারণ যে তোমার জিনিস নিয়েছে, তার কাছ থেকে তো জিনিসটা পাওয়া যাবে। তোমার মিসকে সে কথাটা বোলো।
|
|
ক্লাসের একটি ছেলে আমাকে ‘ক্যাবলা’, ‘ভোঁদাই’, ‘পাগল’ বলে খ্যাপায়, আমার মাথায় মারে, কান মলে পালিয়ে যায়, শিক্ষকদের বকুনির পরও ওর ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ওর মাকে বলেও কোনও লাভ হয়নি।
প্রত্যূষ বক্সী। চতুর্থ শ্রেণি, সেন্ট জোসেফ’স কলেজ
|
|
প্রত্যূষ, আমার মনে হয় তোমার ওই সহপাঠীর বিশেষ কোনও সমস্যা আছে, তাই তার ব্যবহার এত আক্রমণাত্মক। এর একটা উপায়ই আমার মনে আসছে। তোমার অভিভাবক যদি লিখিত ভাবে তোমার শিক্ষকদের জানান এবং তোমার শিক্ষকরা যদি ওই ছেলেটির বাবা-মাকে ডেকে ছেলেটির কাউন্সিলিং করানোর পরামর্শ দেন, তা হলে হয়তো সমস্যার কিছু সমাধান পাওয়া যেতে পারে। সেটা যতক্ষণ না হচ্ছে, তোমাকে খুব শান্ত থাকতে হবে। খ্যাপানোয় কান দেবে না, কিন্তু তোমায় মারধর করলে শিক্ষকদের, প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষককে জানাবে।
|
আমার মা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে বার্ষিক পরীক্ষার পর আমাকে বিকেলবেলা খেলতে বেরোতে দেবেন। কিন্তু পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর বাবা-মা দু’জনেই বিকেলবেলা বাড়ির কাজ শিখতে বলছেন, বেরোতে দিচ্ছেন না। কী করে বাবা-মাকে বোঝাব?
দেবস্মিতা বর্মণ। পঞ্চম শ্রেণি, লেক টাউন গর্ভমেন্ট স্পনসর্ড গার্লস হাইস্কুল |
|
|
দেবস্মিতা, তুমি ঠিকই লিখেছ। বাইরে বেরিয়ে একটু খেলাধুলো করা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন, তোমার বাবা-মা নিশ্চয়ই এটা জানেন। হয়তো কোনও কারণ আছে যার জন্য তাঁরা তোমায় বেরোতে দিতে চান না। হয়তো মনে তোমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। আমার মনে হয় তুমি তোমার মাকে বলো যে তিনিও যদি বাইরে বেরিয়ে তুমি কাদের সঙ্গে খেলছ, এটা দেখে আসেন, আর নিজেও যদি খানিকক্ষণ সেখানে বসেন, তা হলে হয়তো তাঁর দুশ্চিন্তা কমে যাবে। আর তুমিও মায়ের কাছে প্রতিশ্রুতি দাও যে বাড়ির আশেপাশেই খেলবে এবং একেবারে ঠিক সময় বাড়ি ফিরে আসবে। চেষ্টা করে দেখো, মাকে বোঝাতে পারো কি না। |
|
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|