আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করল বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ৯ নভেম্বর রাতে সল্টলেকের ফাল্গুনী আবাসনে সুমন্ত সেন নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সুমন্তবাবুর বাবা কাজল সেন পুত্রবধূ নমিতা সেন জয়সওয়াল এবং তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার রাতে নমিতা, তাঁর বাবা-মা লালচাঁদ এবং লাল্টিদেবী জয়সওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বিধাননগর এসিজেএম আদালতের বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সুমন্তবাবু এবং নমিতাদেবীর একটি দু’বছরের ছেলে রয়েছে। নমিতাদেবী ছেলেকে ছেড়ে জেল হেফাজতে যেতে রাজি হননি। তাই ছেলেকে নিয়েই নমিতাদেবীকে জেল হেফাজতে থাকার অনুমতি দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর কয়েক আগে সুমন্ত সেনের সঙ্গে নমিতা জয়সওয়ালের বিয়ে হয়। সুমন্তবাবু পুণের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। আদতে গড়িয়ার বাসিন্দা সুমন্তবাবু বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ফাল্গুনী আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফ্ল্যাটটি নমিতাদেবীর নামেই ছিল। নমিতাদেবী কলকাতার একটি সরকারি কলেজের শিক্ষিকা। কাজলবাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সুমন্তবাবু এবং নমিতাদেবীর মধ্যে বনিবনা ছিল না। এমনকী নমিতাদেবী স্বামীর উপরে মানসিক নির্যাতনও চালাতেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ৮ নভেম্বর রাতে পুণে থেকে সুমন্তবাবু তাঁর বাবাকে ফোন করেছিলেন। ৯ নভেম্বর নমিতাদেবীকে নিয়ে তাঁর গড়িয়ার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। সে দিন রাত পর্যন্ত সুমন্তবাবুরা না আসায় কাজলবাবু পুত্রবধূকে ফোন করেন। ফোনে নমিতাদেবী তাঁর সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানান। এর পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। ছেলের ফোনেও সাড়া পাননি কাজলবাবু। এর পর তিনি বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ ওই আবাসনে গিয়ে দরজা ভেঙে সুমন্তবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। |