চাঁদা না পেয়ে এক ট্রাক চালককে মারধরের ঘটনায় পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি হেনস্থার ভয়ে পুরুষরা ঘরছাড়া হওয়ায় কালী পুজো বন্ধ করে দিয়ে ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা ফাঁড়ি এলাকায় মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিন সকালে পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দুই ঘণ্টা ধরে ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো মহিলা। গত শনিবার রাতে ভালুকা লাগোয়া কালীতলা-পালপাড়া এলাকায় এক ট্রাক চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চাঁদা না দেওয়ায় ওই ট্রাক চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে আমবাগানে নিয়ে গিয়ে মারধর করার অভিযোগে স্থানীয় পুজো কমিটির দুই সদস্যকে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাটি কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে রয়েছে। |
প্রতি রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে এলাকায় পুলিশ হানা দিচ্ছে। কয়েকজন ঘটনায় জড়িত হলেও পুলিশ বাড়ি বাড়ি ঢুকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বাসিন্দাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “নিরীহ কেউ যাতে অত্যাচারিত না হয় তা দেখাই পুলিশের কাজ। জোর করে কেউ চাঁদা তুলবে, মারধর করবে আর পুলিশ তাদের ধরবে না, এটা হয় না। অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।” কমিটির তরফে অবশ্য চাঁদা না-দেওয়ায় চালককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। তাঁদের দাবি, চাঁদা আদায়কারীদের দেখে দ্রুত পালানোর সময় ওই চালক রাস্তায় পাতা বেঞ্চ ভেঙে এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা দেন। সেই জন্যই তাঁকে সামান্য চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে মাত্র। জোর জুলুমবাজির অভিযোগ ঠিক নয়। এ দিন ফাঁড়িতে এসে আন্দোলনকারী মহিলাদের অভিযোগ, ওই রাতে যে ঘটনাই ঘটে থাকুক না কেন তাতে তো আর গোটা গ্রামবাসী জড়িত নন। অথচ পুলিশ প্রতি রাতে গ্রামের বাড়ি বাড়িতে হানা দিচ্ছে। সদুত্তর না পেলে হেনস্থা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এ দিন সকালে কালী মণ্ডপে একজোট হয়ে পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন মহিলারা। ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষে মালতি পাল বলেন, “পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে পুজো বন্ধ করে দিয়েছি। পুলিশি নিরীহদের হেনস্থা করলে ফাঁড়িতে তালা ঝুলিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। |