এবার রাসমেলায় স্টল ভাড়া বাড়ছে কোচবিহারে। মেলার আয়োজক কোচবিহার পুরসভা ওই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে প্রশাসন এবং পুরসভাকে ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুন্ডু বলেন, “গত বছরের তুলনায় স্টলের প্রতি বর্গফুট পিছু দৈনিক দশ পয়সা করে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাস মেলা আয়োজনের খরচ বেড়ে যাওয়াতেই বাধ্য হয়ে ওই সামান্য ভাড়া বাড়াতে হচ্ছে।” পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত বছর স্টল ভাড়া বাবদ দৈনিক প্রতি বর্গফুট এক টাকা কুড়ি পয়সা হারে ভাড়া নেওয়া হয়। এবার তা এক টাকা তিরিশ পয়সা হচ্ছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মেলার প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্পাদক রাজেন বৈদ বলেন, “আপাতদৃষ্টিতে মাত্র দশ পয়সা স্টল ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে মনে হলেও তা নয়। কারণ ব্যবসায়ীদের স্টলে নূন্যতম ১০০ বর্গফুট জায়গা লাগে। এতে দৈনিক তাদের ১০ টাকা করে খরচ বাড়বে। যে সব দোকানের জায়গা বেশি তাদের খরচ আরও বেশি হবে। গত বছরও ভাড়া বাড়ানো হয়। এই সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য আর্জি জানাচ্ছি।” |
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উদ্বোধনের পর মেলায় প্রায় এক সপ্তাহ তেমন ভিড় দেখা যায় না। এতে বিক্রিও তেমন কিছু হয় না। তার উপরে বিদ্যুৎ, জেনারেটরের খরচ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের উপর চাপ বাড়বে। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “দিনহাটা মহকুমার কালী মেলা ভেঙে বহু দোকানদার রাসমেলায় পসরা নিয়ে যান। পরিবহণ খরচ বেড়ে গিয়েছে। তার ওপর স্টল ভাড়া বাড়লে ওই ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন। অনেকে বর্ধিত স্টল ভাড়ার জেরে রাসমেলায় যেতে আগ্রহ হারানোর কথাও জানিয়েছেন।”
কোচবিহার রাসমেলার এবার দুইশো বছর। আগামী ২৭ নভেম্বর ওই মেলা শুরু হচ্ছে। অন্যবার মেলা ১৫ দিন হলেও এবার মেলার ২০০ বছর বলে মেলার মেয়াদ বাড়িয়ে ১৮ দিন করা হয়েছে। মেলায় ২২০০ স্টল বসানোর পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছে। কালী পুজোর পর্ব মিটলেই স্টল বিলির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। |