পরিকাঠামোর অভাবে আজও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চালু হল না চিকিৎসকদের ২৪ ঘন্টা ‘অন কল ডিউটি’ আর ২৪ ঘন্টা সিজারের ব্যবস্থা। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন ক্যানিং মহকুমা তথা সুন্দরবনের মানুষেরা।
ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর উপর মাতলা সেতু তৈরি হওয়ার পর থেকেই ওই মহকুমা হাসপাতালের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন সুন্দরবন ও সুন্দপবন সংলগ্ন এলাকার মানুষেরা। প্রতিদিনই ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, জীবনতলা সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও নিত্য হাজারের বেশি মানুষ ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে বর্তমান বেডের সংখ্যা ১০০। এরফলে রোগীর চাপ সামলাতে একটি বেডে দু’জন করে রোগিকে রাখা হয়। কখনও কখনও রোগীর ঠাঁই হয় হাসপাতালের মেঝেতে। সামগ্রিক পরিকাঠামোর দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতালে ‘ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট’ থাকলেও অধিকাংশ সময়েই সেখানে রক্ত পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় অস্ত্রোপচারের পর সমস্যায় পড়ছেন রোগিরা।
স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল, রবি হালদার, রিঙ্কু হালদাররা বলেন “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মা ও শিশু মৃত্যু রোধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সার্বিক চিত্র একদমই বদলায়নি। ২৪ ঘণ্টা সিজারের ব্যবস্থা না থাকার ফলে রাতে প্রসূতিদের রীতিমত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে এক প্রসূতিকে রাতে জরুরি ভিত্তিতে সিজারের জন্য কলকাতায় স্থানানন্তরিত করা হয়। কিন্তু তাঁর নবজাতককে বাঁচানো যায়নি।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “ডক্টর অন কল পরিষেবা দ্রুত চালু করার চাষ্টা হচ্ছে। হাসপাতালে পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের চেষ্টা চলছে। ব্লাডব্যাঙ্ক চালুর ব্যাপারে অনেকটাই কাজ এগিয়েছে।” তবে এর পাশাপাশি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব রয়েছে বলে তিনি জানান।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিখা অধিকারী বলেন, “ওই হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলি সমাধানের চেষ্টাও হচ্ছে। কম সংখ্যক কর্মীর বিষয়টিও নজরে আছে।” |