কালীপুজোয় আলো-সুর-রঙে সাজছে জলপাইগুড়ি। বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির বাছাই করা থিমের মিশেলই যেন তৈরি করেছে নতুন থিমের আলো-সুর আর রং। শহরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলার খুব কাছাকাছি দুটি পুজোর থিম সুর এবং আলো। বেগুনটারির যুব মঞ্চের পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে, বাঁশি, খঞ্জনি ঢোলের মতো বাদ্যযন্ত্র দিয়ে.‘থিম’ সুর। তৈরি হয়েছে তিনটে বড় বড় মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। দেবী প্রতিমাতেই থাকছে সুরের অনুষঙ্গ। মা কালীর হাতে উদ্ধত খড়্গ নেই। থাকবে বাঁশি। বিশ্ব সংসারের যাবতীয় দুর্বিপাক। সুরের রেশ ধরেই এসে মিশবে শান্তির সঙ্গীতে। এটা বোঝাতেই পুজো উদ্যোক্তাদের আয়োজন। কদমতলা থেকে কিছুটা এগিয়ে ডিবিসি রোডের মুনলাইট ক্লাবের থিম আলো। কর্মাস কলেজের মাঠে তৈরি হয়েছে। পেল্লায় লাইট হাউস. মাঠে রীতিমতো কংক্রিটের পিলার বসিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। ভেতরে নানা রকমের আলোর বিচ্ছুরণ। আলো দিয়ে দেখানো হবে। অশুভ শক্তির বিনাশে শুভ শক্তির জন্ম। শহরের চার নম্বর ঘুমটিতে তৈরি হয়েছে কোণারকের সূর্যমন্দিরের আদলে মণ্ডপ। দাদাভাই ক্লাবের এই পুজো মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে হলে সিড়ি দিয়ে দশ ফুট উঁচুতে উঠে প্রথমে মণ্ডপ থুড়ি সূর্য মন্দিরের চারপাশে প্রায় ২৪০ ফুট পথ পাক খেতে হবে। সূর্যমন্দিরের গায়ে পাথরে খোদাই করা মূর্তিগুলি যেন অবিকল তৈরি হয়েছে থার্মোকল কেটে. মন্দিরের ভেতরে থাকবে দেবী প্রতিমা. সঙ্গে থাকবে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। দাদাভাই ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘থার্মোকল দিয়েই তৈরি হয়েছে মণ্ডপটি। সূর্যমন্দিরে যেমন ভাস্কর্যের নির্দশন দেখা যায়, পুজো মণ্ডপে তেমনটাই দেখা যাবে। যাঁরা সূর্যমন্দির দেখেননি, তাঁরা দেখতে পারবেন। যাঁরা আগে কোণারকের মন্দির দেখেছেন, তাঁরাও দেখবেন কতটা নিখুঁত ভাবে তৈরি হয়েছে মণ্ডপটি। শহরের অন্য প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি বন্ধ সমিতির পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। পাট, খড় দিয়ে একটি কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে অতিকায় মণ্ডপ। ভেতরে থাকবে পাটের তৈরির নানা রকমের পুতুল। উদ্যোক্তারা জানালেন, প্লাস্টিক আর নানা উপকরণের পুতুলের দাপটে বাজার থেকে যখন পাটের পুতুল হারিয়ে যেতে বসেছে। পাটের পুতুল দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে দর্শকদের নস্টালজিয়াকে উসকে দেওয়াই লক্ষ্য। পাশাপাশি, প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে বেগুনটাড়ি যুব মঞ্চের মণ্ডপে. থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে চার দিন লোকসঙ্গীতের আসর বসবে মণ্ডপে। |