প্রবল জনমতে শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের বিনা নকশায় বাণিজ্যিক ভবন তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হলেন নির্মাতারা। মঙ্গলবার, ওই ভবনে কোনও কাজ হয়নি। নির্মাতা সংস্থার শ্রমিকদের সকাল থেকে সেখানে জড়ো হতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, কোনও বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই যে ভাবে বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ার কাজ হচ্ছিল তাতে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শুধু তাই নয়, মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের লিখিত অনুমতি দেওয়া নিয়েও পুরসভার অন্দরেও জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত মেয়র নতুন নির্দেশ দিয়ে কাজ বন্ধ করলেও অনেকেই কিন্তু পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারেননি। ওই ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, দেওয়ালি থেকে কদিন ছুটিই থাকে। ওই সময়ে নির্মাণ কাজ সাধারণত হয় না। যে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি নিয়ে বিতর্ক তাঁর নির্মাতা ট্রাস্টের অন্যতম কর্তা মতিলাল গুপ্ত বলেন, “কাজ বন্ধের জন্য পুরসভার নোটিস পেয়েছি। তার পর থেকে কাজ বন্ধ রেখেছি। এ নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।” ঘটনাচক্রে ওই বেআইনি নির্মামের অভিযোগ নিয়ে পুরসভার শাসক জোটের কংগ্রেসের অন্দরেও আলোচনা শুরু হয়েছে। |
প্রাক্তন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্তমান এইআইসিসি সদস্য উদয় দুবের দাবি, “কংগ্রেস-তৃণমূল উভয় দলের কাউন্সিলরদের একাংশের সুপারিশেই শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে আদর্শ মহাবিদ্যালয় ভবন সংস্কারের জন্য মেয়র অনুমতি দিয়েছিলেন। এমনকী, মেয়র পারিষদ তথা জোটের কাউন্সিলরদের একাংশের অনুরোধ ছিল ওই ভবনের সংস্কার কাজ করতে দিতে হবে। কেউ লিখিত ভাবে আবেদন করেছিলেন, কেউ মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন। সেই মতো নিয়ম মেনে কাজ করার শর্ত সাপেক্ষে মেয়র নিজের ক্ষমতা বলে অনুমতি দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা হওয়ায় দলীয় স্তরে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।” প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুবীন ভৌমিক, কুন্তল গোস্বামীরা আলাদা ভাবে হলেও একই সুরে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করা হবে। এদিন, মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “শর্ত সাপেক্ষে সংস্কার কাজ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠায় কাজ বন্ধ রাখতে বলে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তার পরেও কাজ করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |