কালী পুজো ও দেওয়ালি নির্বিঘ্নে কাটাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চাঁদার জুলুমবাজি সহ একাধিক অভিযোগে একরাতে ১৫০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে শিলিগুড়ি কমিশনারেট ও সংলগ্ন দার্জিলিং জেলা পুলিশের তিনটি থানায় বিশেষ অভিযান চলে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি বেশ কিছু বাজি এবং দেশি ও বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করে। মঙ্গলবারও সাদা পোশাকের পুলিশ বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ও সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “রাতে বেশ কয়েকটি জুয়া ও মদের ঠেকে অভিযান চালানো হয়। দুষ্কৃতীদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদার জুলুমের অভিযোগেও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে চম্পাসারির দেবীডাঙ্গা, নর্মদা বাগান এবং একটি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ল এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তিনটি ক্লাবের পক্ষে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে খবর পায় প্রধাননগর থানার পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে থানার গুরুঙ্গবস্তি, জংশন এলাকা, চম্পাসারি সহ আরও একাধিক জায়গা থেকে মদ ও জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিলিগুড়ি থানার পুলিশ রাতে ডাঙ্গিপাড়া, নয়াবাজার খালপাড়া, স্টেশন ফিডার রোড, গাঁধী ময়দান, জলপাই মোড়, সেবক রোড সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩১ জনকে গ্রেফতার করে। বেআইনি ভাবে বিক্রির অভিযোগে ১৩৫ লিটার মদ আটক করা হয়। ভক্তিনগর থানার পুলিশ ইস্টার্ন বাইপাস, নিউ জলপাইগুড়ি চত্বর, সেবক রোড সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এনজেপি এলাকায় একটি জুয়ার আসর থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচ হাজার টাকাও বাজেয়াপ্ত করে পুলিয। চুরির অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করে এনজেপি ফাঁড়ির পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি এলসিডি উদ্ধার করা হয়। জুয়ার আসর ও মদ্যপ অবস্থায় গণ্ডগোলের অভিযোগে মাটিগাড়া থানার পুলিশও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া কমিশনারেট সংলগ্ন দার্জিলিং জেলা পুলিশের নকশালবাড়ি থানাতেও ওই রাতে ৩১ জনকে ধরা হয়। দার্জিলিং জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুজোর দিন এবং তার পরেও টানা অভিযান চলবে। কোথাও যাতে গণ্ডগোল না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।” |