শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ছাড়ছেন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। মঙ্গলবার তিনি জানান, আগামী ২০ নভেম্বর কলকাতায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন। পরের দিন, ২১ তারিখ রাজ্য মন্ত্রীসভার রদবদল। সেখানে তাঁরও ঠাঁই হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। হুমায়ুন বলেন, “আমি কোনও দায়িত্ব পাব জানিনা। তবে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, সেচ বা পূর্ত দফতর সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল।”
তাহলে কী মন্ত্রীত্বের টোপেই তাঁর দলবদল? হুমায়ুন বলেন, “তা নয়। আমি অধীর চৌধুরীর অমনুগামী ছিলাম। কিন্তু উনি আমাকে প্রাপ্য সমাদর করেননি। তাই অভিমানে দল ছাড়ছি।” কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার পরে পলাশীতে রেলের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অধীর। সেখানেও হুমায়ুনকে পাশে বসিয়ে মঞ্চে তাঁকেই প্রথম বক্তব্য রাখতে দিয়েছিলেন অধীর। মঞ্চ থেকে হুমায়ুনও স্বীকার করেছিলেন ‘অধীরদাই আমার নেতা।’ তাহলে?অধীর বলেন, “হুমায়ুন আমার স্নেহভাজন। তার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ আমার অজানা। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য যে কোনও ভাবে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে দুর্বল করা। তবে ছ-মাস পরে রেজিনগরে নিবার্চন হলে কে জেতার সেঠাই দেখার। আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি।”
এ দিন, বেলডাঙা ও নওদায় দু-টি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার রাজনৈতিক জীবনের লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া মুর্শিদাবাদের উন্নতি করা। জেলায় রেলের উন্নয়নে যেটুকু কাজ তা করার করব।” সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, “জমির বদলে চাকরি দিতে হলে ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষকে চাকরি দিতে হবে। তা কী করে সম্ভব জানা নেই। তবে বহরমপুর পঞ্চাননতলা ও বেলডাঙায় রেলগেটের উপরে উড়ালপুল তৈরির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের ভূমিকাও রয়েছে।” |