দীপাবলিতে আলোর রোশনাইয়ে মাতল ব্যারাকপুর, কল্যাণী শিল্পাঞ্চল। দুর্গাপুজোর পরে কালীপুজোয় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়টিতে কড়া নজরদারি রেখেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ও নদিয়া জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ে। কোথাও কোথাও সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুই শিল্পাঞ্চলেই যেটা লক্ষ্যণীয় তা হল, দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণের হিড়িক। ব্যারাকপুরের এক পুজোর উদ্যোক্তা শান্তনু চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘আসলে কালীপুজোয় ভক্তিভাবটা একটু বেশি থাকে। মা যাতে কোনওভাবে কুপিত না হন। তাই শিবজ্ঞানে জীব সেবার মতো মানব সেবায় কিছু করার চেষ্টা করি। এটা অনেকটাই আমাদের আত্মতুষ্টি।’’ |
ব্যারাকপুরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কালীপুজোর সংখ্যা প্রায় ৫০০। কল্যাণীতে প্রায় ১০০টি। এর মধ্যে ব্যারাকপুরের মণিরামপুর, নৈহাটি, বীজপুর, শ্যামনগর ও কল্যাণী শহরে বেশ কিছু বড় পুজো হয়। কল্যাণী ছাড়া অন্যত্র উপচে পড়া ভিড় হয় দশনার্থীদের। ভিড় সামলাতে এ দিন সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ নামে। ভিড় এড়াতে বহু রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে যান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিকাল পাঁচটা থেকেই নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত বীজপুরের কাঁপা মোড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে কলকাতাগামী সব ট্রাক আটকে দেওয়া হয়। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান কথা ডিসি ট্র্যাফিক কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি নিজে টহল দিয়েছি। এবার শব্দবাজি জব্দ হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ আসেনি। মণিরামপুরে, নৈহাটিতে সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি ছিল। ভিড়ের মধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্যই এই ব্যবস্থা।’’
কল্যাণীতে ফ্ল্যাশ অ্যাসোসিয়েশনের পুজোয় রাজগীরের জৈন মন্দির বা হরিণঘাটার নগরউখড়ায় আগমনীর পুজোয় নামী শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও কল্যাণী সীমান্তের কালীপুজো এ বার ছিল নজরকাড়া। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় বীজপুরে নিজের বাড়িতে পুজো করেছেন। নৈহাটিতেও অরবিন্দ রোডে বড়মা-সহ অন্য কালীপুজোগুলিতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। বহু জায়গায় পাঁঠাবলিও হয়েছে।
|
সোমবার বিকেলে বাড়িতে কাঠের পাড়ের (কোঁড়া) সঙ্গে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হল রঘুনাথগঞ্জের মন্ডলপুর থেকে। নাম অমিত রবিদাস (১৯)। পারিবারিক অশান্তির জেরেই মৃত্যু বলে সন্দেহ পুলিশের। |