শিশুশ্রম
সরকারি নথির সঙ্গে মিলছে না বাস্তব ছবিটা
শিশুশ্রম যে জেলার আমাচে কানাচে বেশ রমরমিয়েই জেলা কর্তারা তা ঠারেঠোরে জানেন। তা রুখতে তাঁদের চেষ্টার কসুর নেই বলে দাবিও করছেন তাঁরা। পেশ করছেন দীর্ঘ তালিকা। কিন্তু তা যে নিছকই কাগজে কলমে বলাই বাহুল্য।
নদিয়া জেলাশাসক অভিনব চন্দ্র যেমন বলেন, “শিশু শ্রমিক রুখতে জেলাপ্রশাসন সব সময় সচেষ্ট।” কী করেছেন তা রুখতে? উত্তর, “শিশুশ্রমিকদের জন্য বেশ কয়েকটি স্কুল খোলা হয়েছে। যেখানে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণও পাবে। যাতে পরে তারা স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে।” সে তো দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাপার। শিশুশ্রম ঠেকাতে জেলায় কোনও উদ্যোগ? প্রশাসন বলছে, হেল্প লাইন চালু করা হবে শীঘ্রই। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যে ঠিক কত দিন সময় লাগে তা বোধকরি সকলেই জানেন!
নিত্য চিত্র। ছবি: বিশ্বজিৎ রাউত।
নদিয়া জেলা ব্রিক ম্যানুফ্র্যাকচার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অশোক মণ্ডল আবার দাবি করছেন, “বর্তমানে কোনও ইট ভাটাতেই কোনও শিশু শ্রমিক নেই।” মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট ব্রিক ফিল্ড ওনার্স অ্যাসিসেয়শনের সভাপতি আবদুল বাকি শেখও বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলার কোনও ইটভাটায় শিশুশ্রমিক নেই।” বাস্তব অবশ্য সে কথা বলছে না। জেলার অজস্র ভাটায় মাথায় ইট নিয়ে শিশুদের বিড় অনবরত দেখা যায়। ইটভাটার শিশুশ্রমিক জলঙ্গির সাহেবরামপুরের বাসিন্দা ৮ বছরের নান্টু মণ্ডলের কথায়, “বাবা মারা যাওয়ার পরে আমার আয়ে সংসার চলে। ইট ভাটায় আমার নির্দিষ্ট কোনও মজুরি নেই। ইট বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপরে মজুরি নির্ভর করে। কোনও দিন ৫০ টাকা হয়। কোনও দিন আবার ১০০ টাকাও রোজগার করি।”
মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক রাজীব কুমার অবস্য স্পষ্টই বলছেন, “শিশুশ্রম ঠেকাতে ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার প্রজেক্ট-এর অধীনে জেলায় ১৪০টি স্কুল চলছে। আরও ১৫২টি স্কুল খোলার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” তিনি জানান, জেলায় ২৬,১৫৭ জন শিশুশ্রমিক রয়েছে। তার মধ্যে জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায় সবচেয়ে বেশি ১৩,৮৫৬ জন।” জেলাশাসকের কথায়, “ডেপুটি লেবার কমিশনের কাছে ৪৬টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শুনানির পরে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা হিসেবে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও হতে পারে। ওই টাকা ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন সোসাইটি’র অ্যাকাউন্টে জমা হবে এবং ওই অর্থ উদ্ধার হওয়া শিশুশ্রমিকদের মান উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।”
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু। দুটি লরির মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক লরি চালকের। নাম নাজমুল হুদা (৩০)। বাড়ি বেলডাঙার জালালপুর গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.