টুকরো খবর
সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পদিমা সর্বজনীন
—নিজস্ব চিত্র।
বছর পঞ্চাশ আগের কথা। দস্যু-তস্করদের উৎপাত থেকে বাঁচতে শ্যামা মায়ের পুজোর প্রচলন করেছিলেন গ্রামবাসীরা। আজ সেই সব ডাকাতেরা প্রবাদে পরিণত হলেও ওড়িশা সীমান্ত লাগোয়া রামনগর ১ ব্লকের পদিমা অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোটি হয় একই রকম ঘটা করে। সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পদিমা সবর্জনীন শ্যামার্চনা কমিটির বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। শৈল্পিক কারুকার্য়ময় মণ্ডপ, ভিতরে দৃষ্টিনন্দন দেবী মূর্তি। রঙিন আলোক মালায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা গ্রামকে। নেওয়া হয়েছে নানান কর্মসূচি। অন্নদান, বস্ত্রদানের পাশাপাশি যাত্রা ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দশ দিন ধরে চলবে গ্রামীণ মেলাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, শক্তির আরাধনার জন্য এই পুজোর প্রচলন হলেও পুজো হয় পুরোপুরি বৈষ্ণব মতে। পুজোর প্রচলন করেছিলেন যিনি, সেই শিশির দাস প্রয়াত হয়েছেন। পুজোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রনাথ দাস ওবয়সের ভারে ন্যূব্জ। শিশিরবাবু ও যতীন্দ্রবাবুর উত্তরসূরী প্রণব কর, দেবব্রত দাস-সহ আশপাশের গ্রামের নবীন যুবকরা প্রবীণদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুজো পরিচালনা করছেন এখন। সোমবার চতুর্দশীর সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন করেন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল, রামনগর-১ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস, পদিমা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অম্বিকা জানা, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ নিতাই সার প্রমুখ।

নিষ্ঠা আর আড়ম্বরের মিশেল পূর্বে
আলোর উৎসবে মেতেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে চণ্ডীপুর, কোলাঘাট থেকে নন্দকুমার। জেলাসদর তমলুক থেকে প্রত্যন্ত গ্রামনিষ্ঠা সহকারে শক্তির আরাধনা হচ্ছে সর্বত্রই। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে জোয়ারভাটা ক্লাবের মণ্ডপ হয়েছে রাজস্থানের একটি মন্দিরের আদলে। ঝিনুক ও মোজাইক পাথরের কারুকাজ দিয়ে প্রায় ৬০ ফুট উঁচু মণ্ডপ। মঙ্গলবার পুজোর উদ্বোধন করেন জেলার সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। উদ্যোক্তা সুদীপ খাঁড়া জানান, “বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠ ও পুকুরে থাকছে আতসবাজির প্রদর্শন হবে।” নন্দীগ্রাম বাজারে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বাজেটের এই পুজো দেখতে ভিড় জমছে ভালই। নন্দীগ্রামের কাছে চণ্ডীপুরে একাধিক বড় বাজেটের পূজা হচ্ছে। চণ্ডীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মিলন সঙ্ঘের মণ্ডপ হয়েছে দক্ষিণেশ্বরের নাটমন্দিরের আদলে। মাদুর, বাঁশের ঝুড়ি, কুলো, চুপড়ি দিয়ে মণ্ডপের কারুকাজ। দক্ষিণেশ্বরের কালীর আদলে মাটির প্রতিমা। চণ্ডীপুর বাজারের রামকৃষ্ণগঞ্জ বাজার কমিটির মণ্ডপসজ্জায় পাট ও খড়ের কারুকাজ। সাবেক রূপের শ্যামা প্রতিমা। চণ্ডীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শ্যামাপুজায় ভিড় উপচে পড়ছে ভক্তদের। নন্দকুমারের ফুটবল ময়দানে আলেয়া ক্লাবের মণ্ডপ তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারিকা মন্দিরের আদলে। পাহাড়ের আদলে মণ্ডপের ভিতরে রয়েছে মাদুর কাঠি ও পাটের কারুকাজ। বৌদ্ধ শৈলীর কালী প্রতিমা। নন্দকুমার বাজারের হাতিমোড় শ্যামাপূজা কমিটির মণ্ডপ সাজানো হয়েছে বিড়লা তারামণ্ডলের আদলে। দক্ষিণেশ্বরের আদলে মাটির প্রতিমা। মণ্ডপে জীবন্ত বারোয়ারি। পাঁশকুড়ার যশোড়া কালীবাজার কমিটির পুজো ঘিরেও ব্যাপক উন্মাদনা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের আদলে বিশাল মণ্ডপ। পাঁশকুড়ার কেশাপাট বাজারে ভলি ক্লাবের কালীর দশ রূপ। এ ছাড়াও বড় বাজেটের বেশ কিছু পুজো হচ্ছে পাঁশকুড়া স্টেশনবাজারে।

শিক্ষক খুনে ধৃত যুবক
প্রাথমিক শিক্ষক খুনে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে মহিষাদল থানার পুলিশ এলাকার পূর্ব শ্রীরামপুর থেকে লক্ষ্মীকান্ত বিজলী নামে বছর একুশের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে মৃত শিক্ষক দীপক প্রামাণিকের (৩২) মোবাইল সেটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ দিনই ধৃতকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। তবে বিচারক ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। এই ঘটনায় এই প্রথম কেউ ধরা পড়ল। গত ৪ নভেম্বর রাতে মোটরসাইকেল সারিয়ে পূর্ব শ্রীরামপুরের বাড়িতে ফেরার সময়ে নিখোঁজ হয়ে যান নাটশাল নরসিংহচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপকবাবু। সারা রাত খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরের দিন সকালে এলাকার পাহালানপুর ও তালতলার মাঝে তাঁর মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। সে দিনই নন্দকুমারের শ্রীকৃষ্ণপুরের একটি গ্রামীন পাঠাগার পিছনের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এরপরে পুলিশ খুনের তদন্ত শুরু করলেও দুষ্কৃতীরা অধরাই ছিল। দীপকবাবুর মোবাইলটিরও সন্ধান চালাচ্ছিল পুলিশ। এ দিন সেই সূত্র ধরেই পুলিশ লক্ষ্মীকান্তকে পাকড়াও করে। পুলিশের দাবি, ওই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকায় লক্ষ্মীকান্তকে জেরা করলেই আসল রহস্যভেদ হবে।

বাসের ধাক্কায় মৃত্যু মহিলার
বাসের সঙ্গে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলার। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ ঘাটাল থানার শিমুলিয়াতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম মায়া মাঝি (৪০)। বাড়ি ঘাটাল থানার খড়ারে। মৃতার ভাই ও মেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে। এ দিকে, কালীপুজোর বিকালে ঘাটালের গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মায়াদেবী মেয়ে পূজাকে নিয়ে ভাইয়ের মোটর সাইকেলে চেপে ঘাটালের দিকে আসছিলেন। শিমুলিয়ার কাছে চন্দ্রকোনাগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধাক্কা মারে মোটর সাইকেলে। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে গাড়ির তলায় চলে যান মায়াদেবী। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। জখম অবস্থায় তাঁর মেয়ে পূজা ও ভাই বিশ্বজিৎকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় মানুষ। বাস ও চালককে আটক করা হয়েছে।

গ্রেফতার ডাকাত দল
পাঁচ জনের একটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে রামনগর থানার গোপালপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ডাকাতি করতে এসেছিল এই দলটি। ধৃতদের কাছ থেকে ৬টি কার্তুজ ও ২টি মোটরবাইকও আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে বাদলপুর অঞ্চলের গোপালপুর সমবায় সমিতিতে ৫ জনের এই ডাকাতদলটি ২টি মোটরবাইকে চেপে ডাকাতি করতে আসে। দরজার তালা ভাঙার সময় গ্রামবাসীরা বাধা দিতে এলে ডাকাতদলটি তাদের রিভালবার দেখিয়ে মোটরবাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু উত্তম প্রামানিক ও জটাধারী দিণ্ডা-সহ কয়েকজন গ্রামবাসী এগিয়ে এসে মোটরবাইক আটকাতে চাইলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বাইকদুটি ফেলেই পালিয়ে দলটি। সঙ্গে সঙ্গে রামনগর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ রামনগরের কাছেই ৫ জনকে ধরে ফেলে। রামনগর থানার ওসি বিশ্বজিৎ হালদার জানান, ধৃতদের কাছ থেকে কার্তুজ উদ্ধার হলেও রিভালবারটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। ধৃতদের মধ্যে একজন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরের, একজন রামনগর থানার মাধবপুরের এবং তিনজন গোপীবল্লভপুরের বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নষ্ট
রাতের অন্ধকারে পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়েছিল কে বা কারা। মঙ্গলবার ভোরে ভেসে উঠল শ’য়ে শ’য়ে মাছ। চন্দ্রকোনার নিচনা গ্রামের ঘটনা। ওই পুকুরগুলি মাছচাষের ক্ষেত্র। গ্রামের বক্সি পরিবারের দিঘি পুকুরে মাছ চাষ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সীতারাম পাল। ওই গ্রামেই আর একটি পুকুরে খোকন রায় ও বালা নামে একটি পুকুরে মুচিরাম টুডু ও কুচু গায়েন মাছ চাষ করেন। তিনটি পুকুরেরই সমস্ত মাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আচমকা এই বিপর্যয়ে মাথায় হাত মাছ ব্যবসায়ীদের। সীতারামবাবু বলেন, “আমার পুকুরে প্রায় ২০ কুইন্ট্যালের মতো মাছ ছিল। সমস্ত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” প্রতিহিংসাবশতই পুকুরগুলিতে কীটনাশক ঢেলে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান এলাকাবাসীর। তদন্ত শুরু হয়েছে।

পলাতক বন্দি পুলিশের জালে
খেজুরি থানার পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বিচারাধীন বন্দি। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে ফের তাঁকে ধরল পুলিশ। খেজুরি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী খুনে অভিযুক্ত প্রশান্ত পাত্রকে গত ৮ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর-এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরদিন প্রশান্তকে কাঁথি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে পাঠান। সোমবার দুপুরে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার প্রশান্তকে তাঁর বাড়ি দেখালি ও যেখানে তাঁর স্ত্রী-র মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই হলুদবাড়ি গ্রামে নিয়ে যান। সেখান থেকে ফের থানায় নিয়ে আসা হয় প্রশান্তকে। সন্ধ্যার সময় প্রশান্ত শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে থানার প্রাচীর টপকে পালিয়ে যান। জানতে পেরেই খেজুরি থানার পুলিশ প্রশান্তকে ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। খেজুরির বাইরে চলে যাওয়ার রাস্তায় নজরদারি বাড়ানো হয়। এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, ভোররাতে খেজুরি বিদ্যাপীঠ মোড়ের কাছে ফের ধরা পড়ে প্রশান্ত।

হামলার অভিযোগ
সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ মাধবপুরে চন্দ্রকোনা-১ জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল চক্রবর্তীর বাড়িতে তৃণমূলের জনা ত্রিশেক সমর্থক আচমকাই ঢুকে পড়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ। সুনীলবাবুর অভিযোগ, “সম্প্রতি চন্দ্রকোনা-১ জোনাল অফিসে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূলের কয়েকজন। এই নিয়ে থানায় মামলা করা হয়। মঙ্গলবার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি চিত্ত পাল ‘ঘটনা একটা ঘটেছে’ বলে মেনে নিলেও দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.