আরও একটি পুরস্কার ঢুকে পড়ল লিওনেল মেসির শোকেসে। অপেক্ষা আরও অনেক নজির গড়ার। যার কয়েকটা ঘটতে পারে শীঘ্রই, কোনওটা মরসুম শেষ হওয়ার আগেই।
মঙ্গলবার এলএম টেন পেলেন গত মরসুমের লা লিগার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার। সেই সঙ্গে মেসির সামনে এখন রয়েছে বেশ কিছু নজির গড়ার সুযোগ। সবচেয়ে আগে যেটা ভাঙতে পারে সেটা একশো বছরেরও পুরনো রেকর্ড। ভিভিয়ান উডওয়ার্ড, যিনি টটেনহ্যাম ও চেলসির প্রাক্তন, ১৯০৯-এ ক্লাব ও দেশের হয়ে শুধু মাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচে (ক্লাবের ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা বিশ্ব ক্লাব কাপের মতো টুর্নামেন্টে) করেছিলেন ২৫টি গোল। আর্জেন্তিনা ও বার্সেলোনার হয়ে মেসি ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন ২৩ গোলে। |
কথা রাখলেন আগেরো। মেসির ছেলে থিয়াগোর জন্মের পর
আগেরো
বলেছিলেন
জুনিয়রের
জন্য জাতীয় দলের দশ নম্বর জার্সি রেখে দেবেন।
মেসির হাতে সেটাই তুলে দিচ্ছেন তিনি। |
এক বছরে দেশ ও ক্লাবের হয়ে মোট গোলের সংখ্যায় সদ্য পেলেকে টপকেছেন মেসি। এখন রয়েছেন ৭৬ গোলে। তাঁর সামনে গার্ড মুলার ৮৫ গোলে। ১০ গোল করলে টপকে যাবেন। সেই জন্য মেসি হাতে পাচ্ছেন ১১টি ম্যাচ।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ দু’টিআজ বুধবার সৌদি আরব এবং এক সপ্তাহ পর ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আগামী দু’মাসে লা লিগা, কোপা দেল রেই এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলে বার্সার হয়ে ম্যাচ পাচ্ছেন ন’টি। প্রাক্তন বার্সা-নায়ক সেজারকে মেসি টপকেছিলেন গত মার্চে। বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গোল করার সুবাদে। এ বার ফের সেজারকে টপকানোর সুযোগ। শুধু লা লিগায় সবচেয়ে বেশি গোলদাতা হিসেবে। ১৩টি মরসুমে সেজারের গোল ছিল ১৯২টি। আট মরসুমে মেসি পৌঁছে গিয়েছেন ১৮৪তে। এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যদি এ বারও সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এলএম টেন, তা হলে ইতিহাসে প্রথম কোনও ফুটবলার টানা পাঁচ বার এই কৃতিত্ব অর্জন করবেন।
স্বদেশীয় যে মহানায়কের সঙ্গে তাঁর প্রায় সর্বদা তুলনা হয়, সেই দিয়েগো মারাদোনাকেও টপকে যেতে চলেছেন লিও মেসি। আর্জেন্তিনার জার্সিতে গোল করার সংখ্যায়। ৯১ ম্যাচে মারাদোনার গোল ৩৪টি। মেসির গোল এখন ৩১টি, ৭৫টি ম্যাচ খেলে। এর্নান ক্রেসপো (৩৫) কাছাকাছি থাকলেও গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (৫৬) অবশ্য এখনও অনেক দূরে। তবে আর এক আর্জেন্তিনীয়, যিনি পরে স্পেনের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন, সেই আলফ্রেদো দি’স্তেফানোকে টপকাতে মেসির দরকার আর তিনটি গোল। তবে সে ক্ষেত্রে গোলগুলো অবশ্যই করতে হবে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে। |
এলেম নতুন দেশে। আবু ধাবিতে মেসি। ছবি: এএফপি |
‘এল ক্লাসিকো’য় রিয়াল-তারকা দি’স্তেফানোর গোল ছিল ১৮টি। মেসি করেছেন ১৬টি গোল।
আর সব শেষে এ বারও যদি ব্যালন ডি’ওর জেতেন মেসি, তা হলে তিনি হারিয়ে দেবেন ইউসেবিও, গার্ড মুলার, জার্দেল, থিয়েরি অঁরি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং নিজেকেও। কারণ, মেসি-সহ তাঁরা সবাই এই পুরস্কার জিতেছেন দু’বার করে।
গত মরসুমের লা লিগার সেরা আক্রমণাত্মক ফুটবলারের তকমাও জুটেছে মেসির ভাগ্যে। সেরা কোচ বার্সেলোনার প্রাক্তন পেপ গুয়ার্দিওলা। সেরা গোলকিপার রিয়াল মাদ্রিদের ইকের কাসিয়াস। সেরা ডিফেন্ডার তাঁর সতীর্থ সের্খিও রামোস। সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বার্সার ইনিয়েস্তা, কিন্তু ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের পুরস্কারের লড়াইয়ে বার্সার মাসচেরানোকে হারিয়ে জয়ী রিয়ালের জাবি আলোন্সো। |