|
|
|
|
দেওয়ালির রোশনাই উন্মুক্ত সংশোধনাগারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ৬৬ জন বন্দি এ বার জেলে থেকেও দেওয়ালি উৎসব পালন করছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। বিহারের বক্সারে উন্মুক্ত সংশোধনাগারের এই বন্দিরা স্বাভাবিক ভাবেই খুশি। একই সঙ্গে খুশি জেল কর্তৃপক্ষও।
ভাল ব্যবহারের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেল থেকে প্রথম দফায় ৭৩ জন বন্দিকে এই উন্মুক্ত সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে সাত জন বন্দি ইতিমধ্যে ছাড়াও পেয়ে গিয়েছেন। চলতি বছরের ২৩ মে এই উন্মুক্ত সংশোধনাগারের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এখানকার বাসিন্দারা সকলেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত।
ইতিমধ্যে কারও ১২ বছর, কারও বা ১০ বছর সাজা খাটা হয়ে গিয়েছে। ছিলেন দুই ফাঁসির আসামীও। হাইকোর্টের আদেশে তারা এখন যাবজ্জীবন বন্দি। সৌজন্যে উন্মুক্ত সংশোধনাগার, বন্দি হয়েও ইতিমধ্যেই সাধারণ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন এখানকার বাসিন্দারা।
সংশোধনাগারের সুপারিনটেন্ডেন্ট সুরেন্দ্র কুমার অম্বস্থার কথায়, “এঁরা ইতিমধ্যেই অর্ধেক সাধারণ নাগরিক হয়ে উঠেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এঁরা রোজগার করতে যান। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত তাঁরা বাইরে কাজ করেন। সাতটার মধ্যে তাঁদের এখানে ফিরে আসতে হয়।”
এই দেওয়ালিতে কী ভাবে উৎসবে ওরা সামিল হচ্ছে তা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভরত কর্মকার, সাবির আনসারি বা রাধেশ্যামরা নিজেরা দোকানে গিয়ে দেওয়ালির জিনিসপত্র কিনে আনছে। সংশোধনাগারে তাঁদের যে বাড়ি দেওয়া হয়েছে সেখানে তাঁদের আত্মীয়রা ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন।” অম্বস্থা বলেন, “এই বছরই প্রথম ওঁরা জেলে থেকেও পরিবারের সঙ্গে দেওয়ালি উৎসব পালন করছেন।” |
|
|
|
|
|