টুকরো খবর
অভিযুক্ত অধ্যাপক
এক প্রাক্তন অধ্যাপকের বাড়ি জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীরই আর এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বোলপুর আদালতে বিশ্বভারতীর ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন প্রয়াত অধ্যাপক অমিয়কান্তি গুপ্তের স্ত্রী ও মেয়ে।বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগকারীর আইনজীবী দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওই অধ্যাপক আমার মক্কেলের বাড়িতে জোর করে ঢুকে বসেছেন। অমিয়বাবুর মা ও মেয়েকেও নানা ভাবে হয়রানি করছেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, গুরুপ্রসাদবাবু জাল নথি তৈরি করে নিজেকে অমিয়বাবুর ভাড়াটে বলে দাবি করছেন। যদিও অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, “আমাকে অমিয়বাবুই ভাড়াটে হিসেবে রেখেছিলেন। আমার কাছে তার নথি আছে। অঞ্জনাদেবীরা আমাকে জোর করে উৎখাত করার চেষ্টা করায় আমি আদালতেরও শরণাপন্ন হয়েছি।” তাঁর দাবি, “গত জুলাই মাসেই বোলপুর আদালত উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।”পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অমিয়বাবু গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে কলকাতায় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বাড়িতে তখন লোকজন না থাকার সুযোগ নিয়ে গুরুপ্রসাদবাবু জোর করে অমিয়বাবুর বাড়ির দখল নেন বলে অভিযোগ। অমিয়বাবুর মেয়ে অঞ্জনা মজুমদারের দাবি, “আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে গুরুপ্রসাদবাবু জোর করে বাড়ির দখল নিয়েছেন। পুরো ঘটনাটি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

সাক্ষ্য নিল তদন্ত কমিটি
প্রাক্তন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আরও এক দফা সাক্ষ্য নিল বিশ্বভারতীর সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। সোমবার অধ্যাপিকা সবুজকলি সেনের নেতৃত্বাধীন কমিটির সামনে হাজির হয়েছিলেন পল্লিশিক্ষা ভবনের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপক, কর্মীদের একাংশ। ওই দিনই কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল ভবনের আওতায় থাকা ‘কৃষি অর্থনীতি, কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি পরিসংখ্যান’ বিভাগের দুই গবেষকেরও। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বিশেষ অনুমতিতে ওই দুই পড়ুয়া তদন্ত কমিটির কাছে আগেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই অভিযোগকারী ছাত্রী, তাঁর কয়েকজন সহপাঠী, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক ও কিছু কর্মীর সাক্ষ্য নিয়েছে কমিটি। বিশ্বভারতীর পল্লিশিক্ষা ভবনের আওতাধীন শ্রীনিকেতনের ‘কৃষি অর্থনীতি, কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি পরিসংখ্যান’ বিভাগের গবেষণা-প্রার্থী এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ওই বিভাগেরই শিক্ষক সিদ্ধার্থদেব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সিদ্ধার্থবাবু সে সময় বিশ্বভারতীর ‘ডিন ফর স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার’ পদেও ছিলেন। গত অক্টোবরে ছাত্রীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিশ্বভারতী সিদ্ধার্থবাবুকে ওই পদে থেকে সরিয়ে দেয়। আপাতত উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের নির্দেশে বিশ্বভারতীর একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

মোটরবাইক উদ্ধার
সম্প্রতি ২৮টি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার করল পুলিশ। রামপুরহাট থানার বিভিন্ন এলাকা-সহ আশপাশ থানার বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরবাইকগুলি উদ্ধার হয়। মূলত রামপুরহাট থানার উদ্যোগে এই চোরাই বাইকগুলি উদ্ধার করা হয়। রামপুরহাট থানার আইসি জয়ন্তকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত চোরাই বাইক উদ্ধারের মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত রামপুরহাট, নলহাটি, মাড়গ্রাম, ময়ূরেশ্বর এই চারটি থানা থেকে বাইকগুলি চুরি যায়। বাইকগুলি চুরি যাওয়ার পর যেহেতু নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে দেয় দুষ্কৃতকারীরা, সে জন্য বাইকগুলি এখনও প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি।”

বাস উল্টে জখম
বাস উল্টে জখম হলেন জনা পনেরো যাত্রী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজনগর থানা এলাকার ভবানীপুর বড়বাঁধের কাছে, সিসাল ফার্ম থেকে সিউড়ি যাওয়ার রাস্তায়। আধিকাংশকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন সকালে সিউড়ি যাওয়ার পথে হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডানদিকে উল্টে যায় বাসটি।

ধর্নামঞ্চে শপথ
মঙ্গলবার দয়াল সেনগুপ্তের তোলা ছবি।
দীপাবলির সন্ধ্যায় লোবার ধর্নামঞ্চের সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কৃষিজমি রক্ষা কমিটির নেতৃত্ব ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন পিডিএস নেত্রী অনুরাধা পুততুণ্ড। ৬ নভেম্বর খনির জন্য মাটি কাটার যন্ত্র বাসিন্দাদের কাছ থেকে ছাড়াতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হন ৫ গ্রামবাসী। সিউড়ি সদর হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। এক জনকে আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.