খাদের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মার্কিন অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর পরামর্শ পেতে তিন অনাবাসী ভারতীয়কে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানালেন বারাক ওবামা। পেপসি-র চেয়ারম্যান এবং সিইও ইন্দ্রা নুয়ি ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন নীরা টন্ডন এবং দীপক ভার্গব।
ওবামার দেশে তো বটেই। সারা বিশ্বের কর্পোরেট মহলেই পেপসি-র কর্ণধার ইন্দ্রা নুয়ি যথেষ্ট পরিচিত নাম। এর আগে ২০০৭ সালে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য পরিষদের পরিচালন পর্ষদের সদস্য হিসেবেও মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। বরং সেই তুলনায় কিছুটা ‘অচেনা’ মুখ নীরা টন্ডন কিংবা দীপক ভার্গব। নীরা ওয়াশিংটন-কেন্দ্রিক উপদেষ্টা সংস্থা ‘সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস’-এর প্রেসিডেন্ট। দেশের উন্নয়নে সরকারের আর্থিক নীতি কেমন হওয়া উচিত, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেয় তাঁর সংস্থা। পেশ করে তা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট এবং সমীক্ষা। |
|
|
|
ইন্দ্রা নুয়ি |
দীপক ভার্গব |
নীরা টন্ডন |
|
দীপক ভার্গবের ‘সেন্টার ফর কমিউনিটি চেঞ্জ’ আবার চেষ্টা করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে যোগসূত্র তৈরির। যাতে তাঁদের নিজস্ব ‘কমিউনিটি’ গড়ে ওই সব গরীব মানুষকে উন্নয়নের স্রোতে সামিল করা সম্ভব হয়। চলতি বছরের শেষেই আমেরিকার অর্থনীতির সামনে হাজির হচ্ছে এক পাহাড়-প্রমাণ চ্যালেঞ্জ। যার পোশাকি নাম ‘ফিস্কাল ক্লিফ’। সহজ কথায় এর মানে হল, এখন বিপুল ঋণের বোঝা চেপে রয়েছে মার্কিন মুলুকের ঘাড়ে। বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছেছে ঘাটতিও। এই দুই সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ মার্কিন প্রশাসন। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ জন্য বিপুল অঙ্কের নতুন কর চাপাতে হবে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে। ছাঁটাই করতে হবে সরকারি খরচও। দু’দিক মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলারের বোঝা চাপবে মার্কিন জনতার ঘাড়ে। অনেকেরই আশঙ্কা, এর ফলে ধাক্কা খাবেন আমেরিকার সাধারণ মানুষ। সমস্যায় পড়বে শিল্প। বাড়বে বেকারত্বের হারও। তাই সব দিক বাঁচিয়ে কী ভাবে অর্থনীতির হাল ফেরানো যায়, তা নিয়ে শলা-পরামর্শের জন্যই রাজনীতির কারবারিদের পাশাপাশি কর্পোরেট কর্তা, শ্রমিক নেতা এবং সমাজ উন্নয়নের কাজে যুক্ত পরিচিত মুখদের সঙ্গে মঙ্গল এবং বুধবার আলোচনায় বসছেন ওবামা।
সেখানেই শিল্পমহলের প্রতিনিধি হিসেবে ওয়ালমার্ট, ফোর্ড, জেরক্স, আইবিএমের মতো মার্কিন বহুজাতিকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ডাক পেয়েছেন ইন্দ্রা নুয়ি। আর সমাজের অন্যান্য অংশের বক্তব্য তুলে ধরতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতরে যাচ্ছেন নীরা টন্ডন এবং দীপক ভার্গব। |