|
|
|
|
অনাস্থা, বামেরা হাইকোর্টে যাবে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে চিঠি দিয়েও সভা না ডাকায় রাজ্য সরকার, পুর চেয়ারম্যান এবং কমিশনারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করতে চলছে বামফ্রন্ট। পুজোর ছুটির পর হাইকোর্ট খুললেও শিলিগুড়ি পুরসভার ১৭ জন বাম কাউন্সিলর ওই মামলা করবেন। শুক্রবার দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে বিষয়টি ঠিক হয়েছে। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “সম্প্রতি চেয়ারম্যান দলবদল করেছেন। ওঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে আমরা সভা ডাকার জন্য কমিশনারকে চিঠি দিই। নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যে ওই সভা ডাকার কথা থাকলেও তা ডাকা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে যাচ্ছি।”
অশোকবাবু জানান, রাজনৈতিক স্বার্থে পুর কমিশনারকে ওই অনাস্থা বৈঠক ডাকাতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি বিরোধী দলনেতা রাজ্য সরকারের পুর দফতরের সচিবকেও লিখিতভাবে জানান। সেই থেকেও কোনও উত্তর মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। সরকার, কমিশনার এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছুটির পরে হাইকোর্ট খুললেই বামফ্রন্টের কাউন্সিলরেরা মিলিতভাবে ওই মামলা করবেন। এদিন জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর ঠিক আগে চেয়ারম্যান নান্টু পাল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর পদ না ছেড়ে অনৈতিকভাবে দলবদল করেছেন বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট। অশোকবাবুর পাশে বসে দার্জিলিং জেলা সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “কংগ্রেস, তৃণমূল পুরবোর্ডের ক্ষমতায় এসে একের পর এক অনৈতিক কাজ করে চলেছে। এই সভা না ডাকাটা তা আবার প্রমাণ করল। আমরা এবার আইনি পথে লড়াই করব।” অশোকবাবু জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি অবধি ওই নাগরিক সভাগুলি হবে। এর পাশাপাশি, ২২ নভেম্বর মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। আর ৩০ নভেম্বর বস্তিবাসীদের ভাতা, পাট্টা, সরকারি সুযোগ সুবিধা দাবিতে পুরসভা অভিযান হবে। জেলায় বস্তিবাসী নিয়ে নতুন একটি সংগঠন গড়া হচ্ছে। তাঁরাই আন্দোলন করবে। এ ছাড়া এনবিএসটিসিএবং হিমূল নিয়ে সমস্ত বাম দলগুলির শ্রমিক সংগঠনগুলি টানা আন্দোলনে নামবে। |
|
|
|
|
|