|
|
|
|
এসজেডিএ-তে ‘দুর্নীতি’ |
রুদ্রনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ অশোকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হলেন সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শুক্রবার শিলিগুড়ির দার্জিলিং জেলা সিপিএমের পার্টি অফিসে বসে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ওই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “উন্নয়নের নামে গত কয়েক মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ রয়েছে। উন্নয়নের কাজকর্ম বন্ধ করে একজন ব্যক্তির পছন্দ, অপছন্দের উপর সংস্থা চলছে।” হিসাব দিতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী অশোকবাবু জানান, শহর সাজার কথা বলে হিলকার্ট রোডে ৬ কোটি টাকার ত্রিফলা বাতি প্রথমে লাগানো হল। তার পরে জাতীয় সড়কে কিছু ওই বাতি লাগানো হল। নৌকাঘাট এলাকায় কীভাবে ওই বাতি লাগানো হচ্ছে তা সকলে দেখছেন। এখানেও প্রায় ৬ কোটি খরচ হয়েছে। তার পরে পুলিশের কাজ নিজেদের হাতে তুলে সিসিটিভি লাগানোতে প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ করা হল। তা ঠিকঠাক কাজ করছে কী না জানা নেই। আর পুজোর মরশুমে সরকারি খরচে পুজোর পুরস্কার দেওয়া হল। সে জন্য একটি টেলিভিশন সংস্থাকে প্রচার বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দুটি মহানন্দ সেতু, হাতিঘিষা, তারবান্ধায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ পড়ে রয়েছে। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রবাবু। পাল্টা অশোকবাবুর আমলের কাজের তদন্ত করা হতে পারেও বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। রুদ্রবাবু বলেন, “এসজেডিএ-র তহবিলে থাকা টাকা অশোকবাবুদের ব্যক্তিগত টাকা নয়। মানুষের টাকা মানুষের উন্নয়নে খরচ হচ্ছে। কোনও দুর্নীতি হয়নি। অশোকবাবু কেবল রাজনীতি করার জন্য দফতরের বসে নানা কথা বলেন। ওঁর আমলের কাজের তদন্ত করার কথাও আমরা ভাবছি।” যা শুনে অশোকবাবুর প্রতিক্রিয়া, “আমি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু, এখন যাঁরা চালাচ্ছেন, জনতা তাঁদের কৈফিয়ৎ নেবে।” এই ব্যাপারে রুদ্রবাবু’র পাল্টা অভিযোগ, “অশোকবাবুর আমলে যা হয়েছে তা কম বলাই ভাল। বেশির ভাগ প্রকল্প অসফল। চম্পাসারি বাজার, হায়দারপাড়া বাজার, ড্রাইপোর্ট, আনারস পার্ক কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফেলা রাখা হয়েছিল। হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ কোনও উন্নয়ন করেননি। উল্টে সেবক রোডের কয়েকশো গাছ কেটেছেন। চা বাগান তুলে শপিং মল গড়তে দিয়েছেন। রেলের জমি মানুষের স্বার্থে নিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।” এসজেডিএ-র চেয়ারম্যানের সংযোজন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিলিগুড়ি শহর নতুনভাবে সাজছে। ফিল্ম সিটি, আর্বান হাট, তিন বেসরকারি হাসপাতাল হচ্ছে। নৌকাঘাট এলাকায় পানীয় জল শোধন কেন্দ্রটি পর্যটন কেন্দ্রের মত তৈরি করা হচ্ছে। এমনকী, অশোকবাবুদের অর্ধসমাপ্ত, পরিকল্পনাহীন প্রকল্পগুলি কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই কাজ চলছে বলে রুদ্রনাথবাবু জানান। |
|
|
|
|
|