|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
নামে আসিয়া যায় |
বইপোকা |
নামে কী আসিয়া যায়? যতই প্রশ্নটি ছুঁড়িয়া দেন শেক্সপিয়র, বঙ্গীয় বইপাড়া জানে নামমাহাত্ম্য কাহাকে বলে। লেখকের নাম আশ্চর্য এই ভবের বাজারে সর্বাধিক মাহাত্ম্যপূর্ণ। অর্থাৎ নামী লেখকদের নাম থাকিলেই বই কিছু না কিছু কাটিবে এমন একটি বিশ্বাস বইপাড়ায় সর্বত্র বিরাজমান। সে নাম লেখক হিসাবে থাকিতে পারে, সম্পাদক হিসাবে থাকিতে পারে (যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্পাদনার কাজটি না করিয়াই অর্থের বিনিময়ে নাম ব্যবহার করিতে দেন লেখক) এমনকী গ্রন্থকারের প্রশংসাসূচক যৎকিঞ্চিৎ বাণীর লেখক হিসাবেও থাকিতে পারে। মোদ্দা কথা, নাম চাই, নাম। নহিলে সাহিত্যের এই বাজারে তুমি শক্তিশালী লেখক হইলেও পাত্তা পাইবে না। তবে সম্প্রতি হিসাবটি কিঞ্চিৎ উল্টাইবার চেষ্টা করিয়াছে গীতশ্রী কুণ্ডুর একটি সম্পূর্ণ উপন্যাস (সপ্তর্ষি প্রকাশন)। লেখিকার নাম কস্মিনকালেও কেহ শুনিয়াছে বলিয়া মনে হয় না। উপন্যাসটিও, যদি ইহাকে উপন্যাস বলা যায়, সুখপাঠ্য হইলেও আহামরি কিছু নহে। কিন্তু নামটি ভাবিয়া দেখিবার মতো। আমরা ইহার পূর্বে সম্পাদকের নামেই পত্রিকা দেখিয়াছি (‘রমাপদ চৌধুরীর পত্রিকা’, ও পার বাংলায় ‘মীজানুর রহমানের পত্রিকা’), সুবিমল মিশ্রের গ্রন্থসকল লম্বা লম্বা নাম লইয়া স্মরণীয় হইয়া আছে, কিন্তু নামে এমন চমক সাম্প্রতিক কালে বিরল। অতীত দিনের হুইলার-লভ্য উপন্যাসের ন্যায় এই উপন্যাসটি, কিন্তু নামটি লিটল ম্যাগাজিনের চূড়ান্ত নিরীক্ষার নিদর্শন। রসায়নটি জমিল কিনা তাহা অবশ্য পাঠকই বলিবেন। |
|
|
|
|
|