স্কুলের এক শিক্ষককে চটি দিয়ে মারধর করায় অভিযুক্ত করণিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শিক্ষকরাই স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় পড়ুয়ারাও। ফলে শুধু স্কুলের পড়াশোনাই নয়, বন্ধ থাকল ইউনিট টেস্টের মৌখিক পরীক্ষাও।
শুক্রবার বরাবাজার থানার শাঁখারি বাঁশবেড়িয়া হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুল সূত্রের খবর, জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে কোনও বিষয়ে খবর আনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুলের করণিক নিত্যানন্দ মাহান্তির সঙ্গে শিক্ষক ব্যোমকেশ মাহান্তির বচসা হয়। অভিযোগ, সেই সময় নিত্যানন্দবাবু চটি খুলে ব্যোমকেশবাবুকে মারধর করেন। শিক্ষকরা দু’জনকে সরিয়ে দিলেও শুক্রবার সকালে স্কুল খুলতে ফের গণ্ডগোল বাধে। নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্কুল চত্বরে শিক্ষকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নিত্যানন্দবাবু শিক্ষকদের অনেক বিষয়েই মাথা গলান বলে তাঁর উপর আগে থেকেই শিক্ষকদের একাংশের ক্ষোভ ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলের পরিচালন সমিতি এ নিয়ে বৈঠকে বসে। পরে নিত্যানন্দবাবু বলেন, “বৃহস্পতিবার বাড়িতে গণ্ডগোল হওয়ায় মাথা গরম হয়েছিল। ভুল করে ব্যোমকেশবাবুকে জুতো মেরেছিলাম। ভুল কাজ করেছি। ভবিষ্যতে এমনটা হবে না বলে লিখিত ভাবে মুচলেকা দিয়েছি।” ব্যোমকেশবাবুও বলেন, “ওঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারতাম। উনি ভুল বুঝতে পারায় ক্ষমা করে দিয়েছি।” প্রধান শিক্ষক চন্দ্রমোহন মাহাতো, স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক শশধর মুদি বলেন, “উত্তেজনাবশত নিত্যানন্দবাবু ওই কাণ্ড করেছেন। তিনি লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।”
বৈঠক শেষ হতেই দুপুর ২টায় স্কুল ছুটি হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক বলেন, “এ দিন ওই পরিস্থিতির জন্য স্কুলে ক্লাস হয়নি। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ইউনিট টেষ্টের মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি। অন্য দিন পরীক্ষা নেওয়া হবে।” অভিভাবকদের একাংশের প্রশ্ন, পড়ুয়ারা প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলে গেলেও পরীক্ষা বাতিল করে কি স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করলেন? জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাধারানি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রধান শিক্ষক স্কুলের ওই ঘটনা আমাকে জানাননি। পরীক্ষা বাতিল করা হয়ে থাকলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |