|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন ১... |
|
দীপ জ্বেলে যাই |
সেনসুয়ালিটি যখন অ্যাটিটিউড। একদিকে তনুশ্রী। অন্যদিকে রূপা। উত্তপ্ত আবেদন
আর আলোয় স্বাগত দীপাবলি ২০১২। লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
বিউটি লাইজ ইন দ্য আইজ অফ দ্য বিহোল্ডারস।
আর সেনসুয়ালিটি? তা কি লুকিয়ে থাকে তরুণীর যৌবনোদ্ধত শরীরের ভাঁজে? নাকি সসম্ভ্রমে বয়স বাড়া নারীর কাজল পরা চাউনিতে? আসন্ন দীপাবলির আলোর রেখায় আজ তারই উত্তর খোঁজা। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত পত্রিকার দীপাবলির ‘ফোটোশ্যুট’-এর আনাচে কানাচে।
সেই ফোটোশ্যুটের এক প্রান্তে রয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। তরুণী নায়িকা। জ্বলে ওঠার আগের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থাকা। শরীরী আবেদনের উচ্ছাস তাঁর কানায় কানায়। আর অন্য দিকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। জীবনের নানা ওঠাপড়া গায়ে না লাগিয়ে যিনি বয়স বাড়তে দিয়েছেন নিজের নিয়মে। আর সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই হয়ে উঠেছেন থিংকিং ম্যান’স সেক্স কোশেন্ট। অনেক পুরুষের কাছে তিনি যেন সুনীলের সেই কাল্পনিক নীরা। রূপা বললেন, “দিওয়ালি মানে একজন নারীর কাছে আলো। আমি চেয়েছিলাম এমন একটি ফ্রেম যেখানে ধরা পড়বে কী ভাবে একটি মেয়ে তার প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করতে করতে নিজেকে দেখতে পছন্দ করে। কখনও সে উদাসীন। কখনও গয়না নিয়ে খেলা করে সে। তনুশ্রীর উন্মুক্ত পিঠে যে ভাবে হার লুটিয়ে আছে, তেমন ভাবে লুটিয়ে পড়াটা আমার বেশ পছন্দের। আর ওর বুকের ওপর লেপ্টে থাকা গয়নাটাও আমার মনের মতো। আলো-আঁধারিতে ওর নাভিও আবেদন তৈরি করে,” বলছিলেন পরিচালক রূপা। আর বললেন, “তনুশ্রীর বয়স অল্প, সুন্দর ফিগার। তবে কোনও নারীর সৌন্দর্য শুধুমাত্র তার শারীরিক সৌন্দর্য হতে পারে না।”
এ তো গেল তনুশ্রীর কথা। তবে রূপার নিজস্ব সেনসুয়ালিটির সিক্রেটটা কোথায়? “আমাকে অনেকেই বলে অ্যাট্রাকটিভ বা সেনসুয়াল। কিন্তু আমি নিজে এটা ঠিক বুঝতে পারি না। সেনসুয়ালিটি আমার কাছে নিজস্বতা বজায় রাখা। প্রিটেনশন ছাড়া, কাউকে কপি না করে,” রূপা বলতে থাকেন।
কিন্তু শুধু নিজস্বতা বজায় রাখাটাই একমাত্র রেসিপি হতে পারে না। নিজের শরীরকে ভালবাসাটাও জরুরি। “অ্যান্ড ইউ মাস্ট নো হাও টু এজ গ্রেসফুলি।” জোর দিয়ে বলেন রূপা।
|
|
কারও সেনসুয়ালিটি তার ঠোঁটে। কারও বা চোখে। কারও কথা বলায়। বা নিস্তব্ধতায়। “সেনসুয়ালিটি শব্দটার মধ্যে একটা ফিজিক্যালিটি রয়েছে। একজন নারীর চলা বা কথা বলা তাঁর যৌন আবেদনকে বাড়িয়ে দিতে পারে। মেয়েদের সবথেকে বেশি জানা দরকার কী ভাবে হাঁটতে হবে। হাঁটাটাই অ্যাটিটিউডটা বলে দেয়। এই সেনসুয়ালিটি কি পরিকল্পনা বা অভ্যেস করে আনা সম্ভব? জানি না... চোখ মানুষের মনের আয়না। মনটাকে কোথাও একটা খুব স্বচ্ছ করে ফেলতে পারলে চোখে সেটা ধরা পড়ে।”
আর রূপার চোখে কার সেনসুয়ালিটি আকর্ষণ করে? “রেখা। ওঁর চোখ আর ঠোঁটে একটা মাদকতা আছে। ওই শাড়ির আঁচলটা টেনে কোমরে নিয়ে হাঁটা, বা গায়ে আঁচল দিয়ে ওঁর শাড়ি পরার ধরন...কী যেন একটা বলে ওঁর ব্যক্তিত্ব। মনে হয় দূর থেকে বলছে আমার ধারে কাছে আসার চেষ্টা কোরো না। রেখা আমার চোখে নীরা,” বললেন রূপা।
|
পুরুষ ভ্রমরের চোখে
|
আমার চোখে রেখা এমনই এক নারী, যিনি গোটা শরীর পোশাকে ঢেকেও যে কোনও পুরুষকে বধ করতে পারেন তাঁর যৌন আবেদনে। রেখা হট। রেখা সেক্সি। কিন্তু সেটা রেখার মতো করেই। যেখানে মিস্টার বচ্চনই মন্ত্রমুগ্ধ, সেখানে আমরা তো কোন ছার!
|
প্রহ্লাদ কক্কর
(অ্যাড গুরু) |
রেখা এখন প্রায় ষাট। তবু আমরা এখনও ওঁকে দেখি মুগ্ধ হয়ে। রেখা যেদিকে যান, ক্যামেরা সেদিকেই ধাওয়া করে। ভারী কাঞ্জিভরমের শাড়ি। দীর্ঘ কেশ। তাতে জড়ানো ফুলের মালা। কাজল পরা গহন চোখ। এই সব নিয়েই রেখা তৈরি করেছেন তাঁর অপার্থিব রহস্য। যত দিন গিয়েছে, এই রহস্যই বাড়িয়ে চলেছে তাঁর প্রেমিকের তালিকা। তাঁদের কেউ হয়তো সত্যিকারের প্রেমিক। কেউ হয়তো শুধুই আমাদের কল্পনার। কিন্তু এটা জানবেন, ওঁর প্রেমিকদের কেউই কিন্তু ওঁর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বাইরে এসে একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি। রেখার সব প্রাক্তন প্রেমিকের একটাই থিয়োরি। যদি রেখাকে ভালবাসো, তা হলে মুখে কুলুপ এঁটে থাকো।
১৯৭২-এর কোনও একটা সময়ের কথা বলছি। আমি তখন একটা সফ্ট ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপনে শ্যাম বেনেগালের সহকারী। ওই কাজটায় রেখা ছিল। রেখা তখন মাত্র কয়েক বছর হল ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে। শরীরটা কিছুটা হলেও স্থূল। কিন্তু তাতে কী? দুনিয়ায় এত ভাল ঠোঁট আমি আর কারও দেখিনি। তার ওপর ঠোঁটের ডান ধারে ওই ছোট্ট তিল!.. ওফ্, পাগল করা সেক্সি বলতে যা বোঝায়, ঠিক তাই। অ্যাড ফিল্মটায় ও যখন শটে আসত, সত্যি বলতে কী, আমাদের সামনে যেন খুলে যেত একটা প্যান্ডোরার বক্স। সেটের লোকজন খালি ভাবত, এক জন মহিলা যদি একটা সফ্ট ড্রিংকের বোতলের সঙ্গে এত কিছু করতে পারেন, তা হলে না জানি, এক জন পুরুষের সঙ্গে কী না করেন! আমাদের কল্পনার জগতে তখন যেন দাঙ্গা বেঁধে যেত। এত যুগ বাদেও, যখনই রেখার মুখোমুখি হই, আমার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। কী ভাবে ওঁর এক ঝলক দৃষ্টিতে আমরা কুটোর মতো
উড়ে যেতাম। রেখার বয়স বেড়েছে তাঁর নিজস্ব সম্ভ্রমে। এমন ভাবে যে, সে আজও সব চেয়ে আকাঙ্ক্ষিত নারীদের এক জন। গোটা পুরুষজাতির চেতনাকে উসকে দিতে রেখার আজও জুড়ি মেলা শক্ত। প্রদীপের আলোয় বা অন্ধকারে রেখা রিমেন্স ডিভাস্টেটিংলি হট।
|
|
|
প্রীতীশ নন্দী (কবি/সাংবাদিক) |
মনীষা কৈরালা, সুস্মিতা সেন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় তিন জনকেই পোশাক না খুলেই ভীষণ সেক্সি আর স্টানিং লাগে। এঁরা কেউই কিন্তু অল্পবয়সি নন। ওঁদের সেক্সুয়ালিটির কোনও তুলনা নেই। আমার মনে হয় সেটা তাঁদের ব্যক্তিত্বের জন্য।
ওঁরা ঠিক ‘হট চিকস’ নন। সেনসুয়াল নারী, যাঁরা ঠিকঠাক ভাবে সময়কে মেনে নিয়ে পরিণত হয়েছেন। সেই জন্যই এঁরা আমার চোখে ভীষণ আকর্ষণীয়া। ওঁরা বুদ্ধিমতী। ভাল কথা বলেন।
তাঁদের যৌন আবেদন লুকিয়ে আছে তাদের ‘ভার্বাল ফোরপ্লে’-র মধ্যে। তিন জনই আমার বন্ধু।
এঁদের তিন জনকেই মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করি। শুধুমাত্র ‘সেক্স অবজেক্ট’ হিসেবে না। সেখানেই ওঁদের যৌন আবেদন। |
ড্রেসিং রুম |
বিশেষ কৃতজ্ঞতা |
হর্ষবর্ধন নেওটিয়া |
ছবি |
ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় |
লোকেশন |
সুইসোটেল কলকাতা নেওটিয়া ভিস্টা |
বিশেষ সহায়তা |
তাপস রঞ্জন দেব (সুইসোটেল) |
আর্ট সেটিং |
মৃদুল, শাশ্বতী |
তনুশ্রী চক্রবর্তীর মেকআপ ও হেয়ার |
অভিজিৎ চন্দ |
পোশাক ও স্টাইলিং |
স্যান্ডি |
জুয়েলারি |
এ.সরকার |
পরিচালনা |
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় |
পরিকল্পনা |
গৌতম ভট্টাচার্য |
সহায়তা |
দেবাঞ্জলি রায় |
রূপায়ণ ও বিন্যাস |
ইন্দ্রনীল রায় |
ডিজাইনার |
শমিত চন্দ |
|
|
|
|
|
|