|
|
|
|
বিনোদন |
লিঙ্কনের সঙ্গে প্রণবের সাক্ষাৎ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
|
|
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর খবর পেয়েই হোয়াইট হাউসে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
শুধু বার্তা পাঠানোই নয়। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যখন আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে, ঠিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণে আমেরিকার ইতিহাসকে আবার ফিরে দেখলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতিভবনের প্রেক্ষাগৃহে তিনি দেখলেন স্টিফেন স্পিলবার্গের সিনেমা ‘লিঙ্কন’। আমেরিকার জনপ্রিয়তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন-এর শেষ চার মাসের ঘটনা নিয়ে তৈরি এই ছবি, যেখানে ক্রীতদাসপ্রথা বিলোপের জন্য সংশোধনী আনতে গিয়ে সমস্ত বিরোধীদের সঙ্গে যুঝছেন লিঙ্কন।
ছবির শুরুতেই চমক। একটি বিশেষ ভিডিও বার্তায় প্রণববাবুকে সম্বোধন করলেন খোদ স্পিলবার্গ। জানালেন এই ছবিটির মর্মার্থ। ছবিটির অন্যতম প্রযোজক রিল্যায়েন্স এন্টারমেন্ট। সংস্থার কর্ণধার অনিল অম্বানিও উপস্থিত ছিলেন প্রেক্ষাগৃহে, তাঁকেও ধন্যবাদ জানালেন স্পিলবার্গ। |
|
প্রণববাবুর সঙ্গে বসেই ছবিটি দেখলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্তারাও। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলি কোন দিকে মোড় নেয় তা দেখার জন্য এখন উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন কূটনীতিবিদ এবং শিল্পমহল। ঠিক সেই সময়ে প্রণব লিঙ্কনের স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনে দু’দেশের সম্পর্কে এক ইতিবাচক আবহ তৈরি করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সিনেমার সঙ্গে কার্যত কোনও সম্পর্ক ছিল না প্রণববাবুর। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সিনে-প্রেমী হিসেবে খ্যাতি রয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীর। ণববাবু গত চার দশকের মধ্যে, হলে গিয়ে দেখেছিলেন একটি মাত্র ছবি (তখন তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী) ‘রং দে বাসন্তি’। তা-ও সেটি সেন্সর বোর্ডের চাপে পড়ে। ঘনিষ্ঠ মহলে প্রায়ই বলতেন, শিল্পের এই মাধ্যমটি তাঁর অদেখাই রয়ে গেল। কিন্তু দশচক্রে আজ তিনি রীতিমতো ফিল্ম-বাফ! রাষ্ট্রপতিভবনে যাওয়ার পর থেকেই প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে তিনি ছবি দেখছেন। যথেষ্ট তৃপ্তিসহকারে। এখনও পর্যন্ত দেখেছেন দু’টি ছবি যার মধ্যে রয়েছে রিচার্ড অ্যাটেনবরোর গাঁধী। তাঁর সিনেমা দেখার ‘উইশলিস্ট’-টিও দীর্ঘ। আছে ঋত্বিকের মেঘে ঢাকা তারা, সত্যজিতের অশনি সংকেত এবং রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি চলচ্চিত্রগুলি। শুধু পুরনো বাংলা ছবি নয়, রাষ্ট্রপতি সমান আগ্রহী হলিউডেও। ২০১০-এ তৈরি টম হুপারের কিংস স্পিচ, ৬৩ সালের ক্লাসিক ক্লিওপেট্রা দেখতে চান রাষ্ট্রপতি। |
|
|
|
|
|