কংগ্রেস বিধায়ক ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী দলবদলে ব্যস্ত থাকায় পুর পরিষেবা লাটে উঠেছে বলে অভিয়োগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের একাংশ। একই অভিযোগ তুলে পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেছে সিপিএম। পাশাপাশি কাউকে পুরসভার দাযিত্ব না দিযে চেয়ারম্যান কলকাতায় চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার। তিনি বলেন, “পুরসভার কোথায় কি কাজ হচ্ছে? কি কাজ করা হবে? আমাকে চেয়ারম্যান কিছুই জানান না। আমাকে অন্ধকারে রেখে চেয়ারম্যান পুরসভার কাজ করছেন। সরকারি নিয়ম হল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে পুরসভার দায়িত্ব ভাইস চেয়ারম্যানকে দিতে হবে। অথচ চেয়ারম্যান পুরসভার দায়িত্ব কাউকে না দিয়েই গতকাল কলকাতায় চলে গিয়েছেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া তো দূরের কথা, মালদহ থেকে চলে যাচ্ছেন সেই বার্তাও আমাকে জানানো হয়নি।” দুলালবাবুর অভিযোগ, চেয়ারম্যান এ ভাবে কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে মালদহ ছেড়ে চলে যাওয়ায় ইংরেজবাজার পুরসভার পরিষেবা লাটে উঠেছে। দুলালবাবুর অভিযোগ, “চেয়ারম্যান আমাদের দলে ঢোকার জন্য ব্যস্ত আছেন। সেজন্য পুরসভায় সময় দিতে পারছেন না। অথচ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কাউকে ছাড়ছেনও না।” তাঁর আক্ষেপ, মঙ্গলবার তিনি পুরসভায় গিয়ে ২ ঘণ্টা বসে থাকলেও পুরসভার একজন অফিসারও তাঁর কাছে একটা ফাইল পাঠাননি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের অভিযোগ, “ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান দলবদল করতে ব্যস্ত বলে পুরসভায় সময় দিতে পারছেন না। পরিষেবা লাটে উঠেছে। পরিষেবার দাবিতে সিপিএম বামফ্রন্টগত ভাবে পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অভিযোগ করেছেন, এখনও পুরসভা স্থায়ী আস্তাকুঁড় তৈরি করতে পারেনি বলে শহরে যথেচ্ছ জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে ও বেআইনি দখলদারদের কবলে গিয়েছে বহু রাস্তা, ফুটপাত। এই ব্যাপারে চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “আগে আমার অনুপস্থিতিতে দুলালবাবুকে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু উনি উত্তর দেননি। সে জন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়েই আমি যেখানেই যাই না কেন সেখান থেকে অফিসারদের ফোন করে কাজকর্ম পরিচালনা করি। যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিয়োগ তুলছেন, আমি তাঁকে বলি নিজের দফতরটা ভাল করে দেখলে তো পারেন। সেটা কেন দেখছেন না?” কৃষ্ণেন্দুবাবুর দাবি, “ভাল কাজ করতে কলকাতায় এসেছি। সেই সময়ে ভাইস চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলেছেন। তা ছাড়া পুর পরিষেবা বেহাল হওয়ার অভিযোগ যাঁরা তুলছেন, তাঁদের বলি, মিথ্যা অভিযোগে আমাকে সরানো যাবে না।” |