আমাদের স্কুল |
গোঘাট উচ্চ বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠা ১৮৮১।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৩১৮।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩৫ জন।
শিক্ষাকর্মী ৮।
পার্শ্বশিক্ষক ৩ জন।
২০১১ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৬০ জন।
উত্তীর্ণ ৫৮ জন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ২২১ জন।
উত্তীর্ণ ১৯৮ জন। |
|
|
খেলাধূলার সাজসরঞ্জাম কেনার জন্য প্রয়োজন সরকারি অনুদান |
|
পরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
(প্রধান শিক্ষক) |
|
অতি সাধারণ মেধার ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ করে তোলাই আমাদের এই স্কুলের বৈশিষ্ট্য। তফসিলি জাতি, উপজাতি অধ্যুষিত এই বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আজও কোনও ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া হয় না। অতি সাধারণ বাড়ির ছেলেমেয়েরা এখান থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জেলা এমনকী জাতীয় স্তরেও প্রতিনিধিত্ব করেছে। ফুটবলে আন্তর্জাতিক স্তরে স্থান করে নিয়েছে তারা। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই বিশ্বমানের সংস্থা ভাবা, নাসায় ছেলেরা গিয়ে সাফল্য পেয়েছে। এ ছাড়া আছেন বেশ কিছু চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়ার, যাঁরা কোনও না কোনও সময়ে এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এই ধারাবাহিক সাফল্যের পিছনে আছেন কর্তব্যপরায়ণ শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালন সমিতি থেকে শুরু করে স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী মানুষজন।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৮৮১ সালে নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ইংরেজি স্কুল হিসাবে, তারপর ধাপে ধাপে বর্তমান রূপ নেয়। লোকালয় থেকে দূরে গ্রামের প্রান্তে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে সর্বদাই পাশে থাকেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। তবে সমস্যা কিছু আছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের দাবি হল, পাঠাগার সংলগ্ন একটি বড়মাপের পাঠকক্ষ, একটি বড় সভাকক্ষ। সেই সঙ্গে খেলাধূলার উপকরণ কেনার জন্য সরকারি অনুদানও প্রয়োজন।
|
আমার চোখে
অরুণাভ চক্রবর্তী
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট বয়) |
|
|
আমাদের স্কুলের সার্বিক পরিবেশ এমনই যে, অনুপস্থিত থাকার উপায় নেই। ক্লাস ফাঁকি দেওয়া তো দূর অস্ত। শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠ্য বিষয় ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের যার যে বিষয়ে প্রতিভা তাতে তাকে উজ্জীবিত করেন। বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক। বিভিন্ন মেধার ছাত্রছাত্রীদের সমান গুরুত্ব দেন শিক্ষকেরা। ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল রাখার সমস্যা ছাড়া আর কোনও সমস্যা টেরই পাইনি আমরা। এই স্কুলে পড়াশোনা করায় আমি গর্বিত। |
|