মার্কিন আদালতের নির্দেশ মেনে তোজোর ভরণপোষণে দায়িত্বশীল অভিভাবক বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। দিল্লির ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড রাইট কমিশন অভিভাবক নির্ধারণে ইতিমধ্যে তোজোর ঠাকুরদা, দিদিমা সহ পিসি কাকাদের সঙ্গে ওই সংস্থার তরফে কথা বলা শুরু করা করেছে। ওই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার আর্জি জানিয়েছেন তোজোর ঠাকুরদা নির্মলকৃষ্ণ সাহা। রবিবার বালুরঘাটের বাড়িতে নির্মলকৃষ্ণবাবুর সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ মিশ্র সহ জেলা কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। সে সময় নির্মলকৃষ্ণবাবু তাঁকে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী এক বছরে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে না পারলে ১৮ বছরের আগে তোজোকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়বে। ওমপ্রকাশবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, “রাষ্ট্রপতি এবং বিদেশ মন্ত্রকের উদ্যোগে মার্কিন দূতাবাস বিষয়টি নিয়ে তৎপর। এতে বিষয়টি ফলপ্রসূ হতে চলেছে।” দু’দেশের আইনগত বিষয়টি উল্লেখ করে ওমপ্রকাশবাবু বলেন, “এক বছরের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করে তোজোকে ঘরে ফেরানো যাবে।” বালুরঘাটের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সাহা চাকরি সূত্রে জুলাই মাসে নিউজার্সির প্যান্সিপ্যানি শহরে স্ত্রী ও এক বছরের ছেলে ইন্দ্রাশিস ওরফে তোজোকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। সেখানে খাট থেকে পড়ে ইন্দ্রাশিস জখম হয়। তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে নিউজার্সির চাইল্ড প্রোটেকশন গ্রুপ নামে এক সংস্থা দেবাশিসবাবুদের বিরুদ্ধে সন্তান পালনে অবহেলার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও তাঁকে সেখানকার একটি হোমে রাখা হয়। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাবা-মায়ের বদলে তোজোকে হোমে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। ১৪ সেপ্টেম্বর নিউজার্সির আদালত জানায়, তোজোর ঠাকুরদা নির্মলকৃষ্ণ সাহা, দিদিমা প্রগতি বসাক, পিসি শুভ্রা কুন্ডু এবং কাকা ভাস্কর কুন্ডু এই চার আত্মীয়ের মধ্যে দায়িত্বশীল একটি পরিবারের হাতে তোজোকে তুলে দেওয়া যাবে। ভারতীয় কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়ে খতিয়ে দেখে জানাতে হবে কোন ব্যাক্তি শিশুকে মানুষ করার পক্ষে যোগ্য। সেই মতো দিল্লির ওই সংস্থার প্রতিনিধি বিনোদ টিক্কো কয়েক দিন আগে ফোনে ঠাকুরদা নির্মলকৃষ্ণবাবুর সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নিয়েছেন। |