তৃণমূল যুব কংগ্রসের রাজ্য নেতা সৌরভ চক্রবর্তীর বাড়িতে হামলার তদন্ত শুরু করল পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে আলিপুরদুয়ার শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতির বাড়ির ছাদের গ্রিলের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন কয়েকজন দুষ্কৃতী। সৌরভবাবুর অভিযোগ, রাজনৈতিক অথবা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সৌরভবাবুর বাড়িতে কয়েকজন দুস্কৃতী হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, সৌরভবাবুর বাড়িতে শনিবার ভোর ৩টা নাগাদ তিন তলার ছাদের দরজার গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করে কয়েজন দুষ্কৃতী। শব্দ পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করলেও দুষ্কৃতীরা পালিয়ে না গিয়ে গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে বের হতে শুরু করলে ছয়-সাত জন দুষ্কৃতী দলটি পিছনের জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সৌরভবাবু বলেন, “চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্য থাকলে দুস্কৃতীরা বাড়ির লোকের চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে পালিয়ে যেত। কিন্তু আমাদের চিৎকার পাওয়ার পরেও ক্রমাগত গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এর থেকেই প্রমাণিত দুষ্কৃতীরা হামলার উদ্দেশ্যে এসেছিল। আমি বছরের বেশির ভাগ সময় কলকাতায় দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকি। মা সুচেতা চক্রবর্তী বাড়িতে একা থাকেন। সেই সময় কোনও হামলা হয়নি। পুজোতে বাড়িতে এসেছিলাম এই সময় হামলা হল। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।” তিনি জানান, বিষয়টি মুকুল রায়, গৌতম দেব সহ দলের নেতাদের জানিয়েছেন তিনি। রবিবার কলকাতা যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি। তিনি বলেন, “দলের সমর্থকরা আমাকে দেহরক্ষী নেবার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিরাপত্তা রক্ষী নেওয়ার পক্ষপাতি নই। ২০০৬ সালে ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি থাকার সময় প্রাণনাশের হুমকি আসায় আমাকে দেহরক্ষী দেওয়া হয়েছিল। মাস ছয়েক পরে আমি রাজনৈতিক কারণে তা ফিরিয়ে দিই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এর জেরে হয়ত কারও স্বার্থে আঘাত লাগায় তাঁরা পেশাদার দুস্কৃতী লাগিয়ে হামলার ছক কষছে। বিষয়টি কলকাতায় ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।” গোয়েন্দা সুত্রে জানা গিয়েছে, সাত জনের দুস্কৃতী দলটি সৌরভবাবুর বাড়ির ছাদ দিয়ে ঘরে ঢোকার পরিকল্পনা করেছিল। |