পাকবিড়রার ঐতিহ্যবাহী জৈন পুরাকীর্তি সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ওই জায়গায় পোঁছনোর রাস্তা খারাপ হওয়ায় পর্যটকেরাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। প্রতিবাদ জানাতে সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন।
পাকবিড়রায় বেশ কয়েক শতাব্দী প্রাচীন কিছু পুরাকীর্তি এখনও রয়ে গিয়েছে। জৈন উপাসনা গৃহ থেকে প্রাচীন মূর্তি দেখতে প্রতি বছর বিভিন্ন এলাকার পর্যটকেরা ভিড় করতেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এখানে পর্যটকদের আনাগোনায় ভাটা পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত রায়, অনিল মাহাতোরা বলেন, “সংস্কারের অভাবে অনেক বছর আগে মন্দিরের ছাদ সরানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সংস্কার কাজও সম্পূর্ণ হয়নি। তীর্থঙ্করের মূর্তি সেই থেকে বাইরে খোলা আকাশের নীচে পড়ে রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে।” |
তাঁদের ক্ষোভের আরও কারণ রয়েছে। মানবাজার-পুঞ্চা রাস্তা থেকে পাকবিড়রা যাওয়ার রাস্তা সাকুল্যে দেড় কিলোমিটার। কিন্ত ওই রাস্তার প্রায় পুরোটাই এবড়োখেবড়ো পাথরে ভরে গিয়েছে। ওই রাস্তায় তাই চালকেরা গাড়ি নামাতে চান না। ফলে পর্যটকদের আগ্রহ ক্রমশ কমছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য বার বার প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে আবেদন জানিয়েও ফল হয়নি। শুক্রবার পাকবিড়রা পুরাকীর্তি সংরক্ষণ কমিটির ডাকে তাঁরা লৌলাড়া কলেজের কাছে পুঞ্চা-মানবাজার রাস্তা অবরোধ করেন।
পুঞ্চার বিডিও সুপ্রতীক সিংহের আশ্বাস, “স্থানীয় পঞ্চায়েত ওই রাস্তাটি সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। ওই পুরাকীর্তি সংরক্ষণের জন্য রাজ্য পর্যটন বিভাগের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
আলোচনাসভা। খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবাদে রবিবার বিকালে হুড়ার কমিউনিটি হলে সিপিএমের হুড়া জোনাল কমিটির উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলীয় কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া ও প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মাহাতো। |