পশ্চিমে সমীক্ষা প্রশাসনের
নিয়মিত খোলে না রেশন দোকান
নিয়মিত রেশন দোকান খোলে না, এই অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এ বার সমীক্ষায় সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল। গণবন্টন ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখতেই সমীক্ষা করেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা খাদ্য-সরবরাহ দফতর। তাতেই দেখা যাচ্ছে অনেক রেশন দোকানই নিয়মিত খোলে না। অনেক দোকানে আবার বরাদ্দ খাদ্যশস্যের তালিকা দেওয়া হয় না। কেউ কেউ ব্ল্যাক বোর্ডে লিখলেও তা এতটাই অস্পষ্ট থাকে যে, প্রকৃত তথ্য বোঝা যায় না।
পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকান্তি সাইনি বলেন, “রেশনে খাদ্যশস্য না পাওয়ার অভিযোগ পাইনি। নিয়মিত দোকান না খোলার অভিযোগ এসেছে বহু ক্ষেত্রেই। যাতে নিয়মিত দোকান খোলা থাকে ও খাদ্যশস্যের তালিকা ঝোলানো হয়সেই ব্যবস্থা করা হবে।” নজরদারি বাড়াতে রেশনে বরাদ্দের পরিমাণ বিডিওদের জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত গতিতে ‘শপ লেভেল মনিটরিং কমিটি’ গড়ারও চেষ্টা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “প্রায় ৬০ শতাংশ দোকানে শপ লেভেল কমিটি তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিতেও হবে। কমিটির প্রধান ও বিডিওদেরও বরাদ্দের পরিমাণ জানানো হবে।” রেশনে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। বরাদ্দ খাদ্যশস্য খোলাবাজারে বিক্রির প্রতিবাদে নানা সময়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ছবিটা ঠিক কী জানতেই সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। দেওয়া হয় ‘ইন্টার্যাকশন ফর্ম’। তাতে উপভোক্তার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, তিনি কোন রেশন দোকানের গ্রাহক, নিয়মিত খাদ্যশস্য পাচ্ছেন কি না ও মতামত লেখার জায়গা ছিল। পূরণের পরে প্রায় ৭ হাজার ফর্ম সম্প্রতি সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। তাতে দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহে সাড়ে ৫ দিন রেশন দোকান খোলার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই সপ্তাহে তিন দিনও দোকান খোলেন না কিছু ব্যক্তি। ফলে লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে হয় গ্রাহকদের। মাথা পিছু বরাদ্দের পরিমাণ কত তা-ও লেখা থাকে না। দেওয়া হয় না রসিদ। যদিও বা কোনও দোকানে বোর্ডে বরাদ্দের পরিমাণ লেখা হয়, তা এতটাই অস্পষ্ট যে দেখে বোঝার উপায় থাকে না। সমস্যা মেটাতে বিডিওদের কাছেও বরাদ্দের পরিমাণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিয়মিত পরিদর্শনে যাওয়ার। ত্রুটি ধরা পড়লেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসকের কথায়, “সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে কেউ যদি গরিবদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করেন তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মিত পরিদর্শনের জন্যও খাদ্য দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.