পুলিশ যখন ‘অভিভাবক’
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বা পথচলতি কিশোরী বা তরুণীকে উত্যক্ত করা এখন প্রায় রোজকার ঘটনা। এ বার এই মুশকিল আসান করতে পথে নেমেছে খোদ ঝাড়গ্রাম পুলিশ। দাওয়াই একটাই। প্রকাশ্য রাস্তায় কানধরে ওঠবোস ও নিলডাউন। বেয়াদপির মাত্রা বেশি হলে বাড়তি ওষুধ হিসেবে লাঠি দিয়ে ঘা কতক বসিয়েও দেওয়া হচ্ছে। এতে অবশ্য ফল ভালই মিলছে বলে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি। ইভ টিজিং করলে কিংবা বিনা লাইন্সেন্সে মোটর বাইক চালালে এভাবেই ‘শাস্তি’ দিতে ওৎ পেতে থাকছে পুলিশ। |
|
রাস্তায় চলছে শাসন।—নিজস্ব চিত্র। |
দুর্গাপুজোর সময় থেকে ঝাড়গ্রামে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে কিশোর ও কমবয়সী তরুণদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ট্রাফিক আইন ভাঙলে কিংবা ইভটিজিং করলে এই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযোগের মাত্রা গুরুতর হলে সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড় এলাকায় বেপরোয়া ভাবে মোটর বাইক চালিয়ে পথ চলতি মহিলাদের কটূক্তি করেছিল তিনজন তরুণ। বিষয়টি দেখে ফেলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের দুই আধিকারিক। এরপরই এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) সন্তোষকুমার মণ্ডল ও ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) রানা মুখোপাধ্যায় ওই তিনজনকে শহরের ছিমছাম মোড় এলাকায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। কান ধরে ওঠবোস ও কিছুক্ষণ নিলডাউন হয়ে থাকার পর ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করবে না মৌখিক স্বীকারোক্তি দিয়ে ছাড় পায় ওই তিন তরুণ। পুলিশের এই ‘অভিভাবক’ সুলভ আচরণে অবশ্য শহরে ইভটিজিং ও ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা কিছুটা কমেছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। |
|