|
|
|
|
ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, হবে জল পরীক্ষাগারও |
সেচের উন্নয়নে আদমি প্রকল্পে গুরুত্ব
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আদমি (অ্যাকসেলারেটেড ডেভেলপমেন্ট অফ মাইনর ইরিগেশন) প্রকল্পে ৫ বছরে ২২২টি প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। চলতি আর্থিক বছরে ২৩টি প্রকল্প রূপায়ণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলায় সেচের উন্নয়নে এই প্রকল্পে জোর দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রকল্প রূপায়ণ করতে পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। তাই কিছু কর্মী চেয়েছিল প্রশাসন। তিন জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের অনুমোদন মিলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “প্রকল্প রূপায়ণে আগেই বিডিওদের কাছে প্রকল্প রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। তা পাওয়া গিয়েছে। এ বার দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’ভাবে সেচের উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।
১) ভূপৃষ্ঠের জলকে কাজে লাগানো।
২) ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার। ভূপৃষ্ঠের জল ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে আরএলআই (রিভার লিফট ইরিগেশন) প্রকল্পে।
আর ভূগর্ভস্থ জল তোলার জন্য নলকূপ। কোথাও গভীর আবার কোথাও অগভীর নলকূপ তৈরি করা হবে। আগামী ৫ বছরে যে ২২২টি প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে ১৩৬টিই হবে ভূপৃষ্ঠের জল ব্যবহার করে। ৮৬টি প্রকল্প রূপায়িত হবে ভূগর্ভস্থ জল তুলতে। ভৃপৃষ্ঠের জল বেশি ব্যবহারেই জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ, ভূগর্ভস্থ জল বেশি ব্যবহার করতে জলস্তর নেমে যাবে। চলতি বছরে যে ২৩টি প্রকল্প রূপায়ণের তোড়জোর চলছে তার মধ্যে ১২টি রিভার লিফট ইরিগেশন। ১০টি মাঝারি ও ২টি ক্ষুদ্র। ভূগর্ভস্থ জল তুলতে ১১টি প্রকল্পের কাজ হবে। এর মধ্যে ৫টি মাঝারি নলকূপ। এক একটি নলকূপ থেকে ২০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। আর ৬টি ক্ষুদ্র প্রকল্পের এক একটিতে ৬টি করে টিউবওয়েল তৈরি করা হবে। ৬টি টিউবওয়েল মিলিয়ে ৩৬ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া যাবে।
এ জন্য প্রতিটি এলাকায় ‘ওয়াটার ইউজার অ্যাসোসিয়েশন’ তৈরি করার কথা। তারাই প্রকল্পগুলি দেখভাল করবে। প্রশাসন জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি জায়গায় এই অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয়েছে। যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন, তাঁদের নিয়েই অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কেন? প্রশাসনিক কর্তাদের ব্যাখ্যা, এর ফলে প্রকল্পের নজরদারিতে ত্রুটি থাকবে না। উল্টে তাঁদের আগ্রহ থাকবে বেশি। কারণ, প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে আদপে তাঁরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বঞ্চিত হবেন সেচের সুবিধে থেকে।
জল পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগারও তৈরি করা হবে জেলায়। আগে একটি পরীক্ষাগার ছিল। কিন্তু তার অবস্থা তথৈবচ। সেখানে কোনও স্থায়ী কর্মী পর্যন্ত ছিল না। এ বার পরীক্ষাগারের জন্য নতুন ভবন তৈরির পাশাপাশি স্থায়ী কর্মী নিয়োগের উপরেও জোর দিয়েছে প্রশাসন। যাতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের জল সহজেই পরীক্ষা করা যায়। তাহলে কোনও এলাকার জল দূষিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। |
|
|
|
|
|