নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
জঞ্জাল আর জঞ্জাল। রাস্তার ধারে, পার্কে ঢোকার মুখে সর্বত্র শুধু আবর্জনার স্তূপ। বাসিন্দাদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে বার বার জানিয়ে বাসিন্দারা ফালাকাটায় একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু বছরের পর বঠর চলে গেলেও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা হয়নি। ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ক্ষিতীশ রায় বলেন, “মানুষকে একটু সচেতন হতে হবে। নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য জায়গা দেখা হলেও অর্থের অভাবে তার কাজ থমকে রয়েছে।” সভাপতির সচেতনতার উপদেশ নিয়ে ঘোর আপত্তি শহরের বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর দশেক আগেও শহরে জঞ্জালের সমস্যা এতটা তীব্র আকার ধারণ করেনি। সে সময় ফালাকাটার জনসংখ্যা আজকের তুলনায় অনেকটা কম ছিল। বর্তমানে ফালাকাটার জনসংখ্যা ৫০ হাজারের উপরে। |
শহরে বহুতল নির্মাণ হয়েছে। সেখানকার আবর্জনা সব রাস্তায় ফেলায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই করা কোনও ভাবে সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফালাকাটা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরেশ সরকার। তিনি বলেন, “আমাদের সামান্য অর্থ তা দিয়ে শহরের মানুষজনের সবরকম পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। পুরসভাই এক মাত্র এই পরিষেবা দিতে পারে। পুরসভা না হলে কিছু করার নেই।” সরকার বদলের আগে থেকে বর্তমান শাসক দল তৃণমূলের নেতারা ফালাকাটাকে পুরসভা ঘোষণার দাবিতে সরব হয়েছিলেন। ক্ষমতা দখলের পর আজ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও কেন পুরসভা নিয়ে শাসক দলের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফালাকাটার বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারী পুরসভার ব্যপারে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পুরসভা তো হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পার হওয়ার পরে তা নিয়ে কথা বলব।” ফালাকাটার বাসিন্দা তথা শিক্ষক অজিত দে সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা চাইছি দূষণ মুক্ত শহর। প্রশাসনকে এগিয়ে এসে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” |