নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বাচ্চাকে ছেড়ে যেতে চাইছে না মা। ফলে হাতি দলও দ্রুত এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছে বন দফতর। হাতি একই এলাকায় থেকে যাওয়ার ফসলের ক্ষতি বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের এডিএফও বিকাশরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বাচ্চা হাতিটিকে তার মা আগলে রেখেছে। কয়েকটি হাতি আবার তাদের ঘিরে রয়েছে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।” খড়খড়িশোল পেরিয়ে হাতি দলটি ধীরে ধীরে রামগড়ের এগোচ্ছে বলে দফতর সূত্রে খবর। রবিবার বিকেলেই দলটি খড়খড়িশোল পেরিয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর বিকেলে বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে হাতির একটি দল পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার উপরজবা-শ্যামনগর এলাকায় ঢুকে পড়ে। দলটিতে ১৩০টি থেকে ১৪০টি হাতি রয়েছে। এর পর থেকেই দলটি বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে হাতির দলটি মুড়াকাটি, শালুকা প্রভৃতি এলাকা পেরিয়ে রামগড়ের দিকে এগোতে শুরু করে। পরে ফের পুরনো এলাকায় ফিরে আসে। হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে দাগাশোল, দুধপত্রি, দেবগ্রাম। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বেলাবনি-বাবুইবাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি হাতি বাচ্চা প্রসব করেছিল। সেই বাচ্চাকে নিয়েই সমস্যা দেখা দিয়েছে। মা হাতিটি তার বাচ্চাকে ছেড়ে যেতে চাইছে না। একেবারে ধীর গতিতে এগোচ্ছে। ফলে হাতির দলটির গতিও কমে গিয়েছে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন,“ এই সময় হাতির দল এক জায়গায় বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকে না। দ্রুত এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সঙ্গে বাচ্চা থাকায় তা হচ্ছে না।” এই পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যায় ১০- ১৫টি হাতি রামগড়ের কেশাবাঁধ, জোড়াব্রীজ এলাকায় চলে এসেছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। এডিএফও অবশ্য বলেন, “উদ্বেগের কিছু নেই। হাতির দলটির গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে।” |