নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নাগাড়ে রঙিন টিকটিকি বা টোকে গেকো হত্যার ঘটনায় চিন্তিত ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। শেষ পর্যন্ত টোকেকে তফসিলভুক্ত প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালো তারা। ভারতে তফসিলভুক্ত প্রাণীর মধ্যে এই সরীসৃপের নাম নেই। কিন্তু গত ছ’মাস ধরে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরামে টোকে গেকো নামের লাল ছিটে দেওয়া নীলচে টিকটিকির হত্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। মায়ানমার থেকে আসছে ক্রেতারা। একটি ধরতে পারলেই দরিদ্র গ্রামবাসীরা পাঁচ হাজার টাকা পাচ্ছেন। |
এই সেই মহামূল্যবান টোকে গেকো। —ফাইল চিত্র
|
মায়ানমার, চিনে গেকোর চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। একটি ৪০০ গ্রাম ওজনের গেকোর দাম ২০ লক্ষ টাকা অবধি উঠতে পারে। চিনে টোকে গেকো থেকে এডস ও ক্যানসারের ওষুধ তৈরি হয় বলে খবর। মিজোরাম সরকার গেকো নিয়ে অন্ধবিশ্বাস বন্ধে নোটিশ জারি করলেও লাভ হয়নি। সম্প্রতি মণিপুরে ৩০ টি টোকে গেকো উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে গাংবা ও ইবোমচা সিংহ নামে দুই শ্রমিককে। থৌবালে ইবোমচার বাড়ি থেকে টোকে গেকোগুলি উদ্ধার হয়। জেরায় তাঁরা জানান, চূড়চাঁদপুর থেকে টোকে গেকোগুলি ধরে এনে বাড়িতে গেকো খামার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ইবোমচা ও গাংবা। থৌবাল আদালত ভারতীয় বন্যপ্রাণ সুরক্ষা দণ্ডবিধির ৫০ (৪) ধারা অনুযায়ী তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। পরে সেগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শিকার হতে হতে ফিলিপিন্সে বিরল হয়েছে এই প্রজাতি। সেখানে এখন গেকো হত্যার শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিরল, বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় নেই গেকোরা। ফলে গেকো মারলে তেমন শাস্তিরও বিধান নেই। সেই সুযোগেই টোকে গেকোর বংশ নির্বংশ হতে চলেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে জানানো হয়, টোকে গেকো বাঁচাতে তাদের নাম তফসি লভুক্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ ভারতের সোনালি গেকোর নাম প্রথম তফসিলে থাকলেও, নীল গেকো উপেক্ষিতই ।
|