মাথায় হাতুড়ির ঘায়ে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর দেওরের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে হাওড়ার বাগনানের পাতিনান গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম সন্ধ্যা মাঝি (২৮)। তাঁর মৃত্যুর কথা জানার পরে দেওর, অভিযুক্ত শশাঙ্ক মাঝি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বৌদির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল শশাঙ্কর। তা নিয়ে গোলমালের জেরেই খুন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা বাড়িতে বসে রাখি তৈরি করছিলেন। সেই সময় শশাঙ্ক তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। সন্ধ্যাকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সে কথা জানতে পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শশাঙ্ক। তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যার স্বামী দীপঙ্কর মাঝি বলেন, “স্ত্রীকে আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে বারণ করেছিলাম। স্ত্রী ওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই আক্রোশেই শশাঙ্ক আমার স্ত্রীকে খুন করেছে। আমি শশাঙ্কের বিরুদ্ধে বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত বর্তমানে চিকিৎসাধীন। পুলিশ প্রহরায় রয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।’’
|
লরির সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহীর। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে গোঘাটের ভেলাদিঘি বাসস্টপের কাছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সঞ্জয় সাঁতরা (২৪)। বাড়ি গোঘাটের কাঁটাপুকুর গ্রামে। গুরুতর জখম তাঁর শ্যালক শ্রীমন্ত দাস। তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব বেদনা নিয়ে এ দিন সকালেই ওই হাসপাতালে ভর্তি হন সঞ্জয়ের স্ত্রী। বাঁকুড়ার হেতিয়ার বাসিন্দা, শ্যালককে নিয়ে সঞ্জয় মোটরবাইক চালিয়ে স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে আসছিলেন। কামারপুকুরমুখী লরিটি একটি সাইকেলকে পাশ কাটাতে গেলে সঞ্জয়ের মোটরবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। জখম অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা সঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়। লরিটি পুলিশ ধরতে পারেনি।
|
বাড়ির অদূরে একটি বাগানের গাছ থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ মিলল। শনিবার সকালে আরামবাগের পাণ্ডু গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম তাপস মালিক (৩০)।
|
শনিবার আরামবাগের বলরামপুরে সিপিআইয়ের কার্যালয় দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিআইয়ের অভিযোগ, কার্যালয় থেকে তাদের দলের নাম মুছে দেওয়া হয়। লেখা হয় ‘তৃণমূলের কার্যালয়’। যদিও, রবিবার সকালে ওই লেখা মুছে দেওয়া হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। |