ফের প্রাতর্ভ্রমণকারীর হার ছিনতাই হল বালিতে। রবিবার ভোরে বালির পঞ্চাননতলায় পঞ্চাশোর্ধ এক মহিলার হার ছিনতাই করে পালায় এক যুবক। পরে নারায়ণ দাস নামে ওই যুবককে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই হওয়া হারটিও।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে প্রতিদিনের মতো বালি ব্রিজে হাঁটতে যান অনিমা ধাড়া নামে ওই মহিলা। পৌনে ছ’টা নাগাদ পঞ্চাননতলায় এক যুবক আচমকা পিছন থেকে তাঁর কাঁধে হাত দেয়। তিনি ঘুরে দেখতে গেলে সেই যুবক তাঁর গলা থেকে প্রায় এক ভরির সোনার চেনটি টেনে নিয়ে দৌড় লাগায়। ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করে তার পিছু ধাওয়া করেন অনিমাদেবী। চেঁচামেচিতে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও তাড়া করেন ওই যুবককে। কিন্তু যুবকটি একটি বাড়ির ভাঙা পাঁচিল টপকে পালায়। পঞ্চাননতলারই এক হোটেলের কর্মী সুব্রত দাস তাকে পালাতে দেখে নারায়ণ বলে চিনে ফেলে। তার বাড়ির ঠিকানাও দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তখন বালির বিওসি গ্রাউণ্ড বস্তিতে নারায়ণের বাড়িতে গিয়ে তাকে ধরে ফেলে। বাড়ির পাশের জঞ্জালের স্তূপ থেকে সোনার হারটিও উদ্ধার হয়। নারায়ণকে বালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেরায় ধৃত যুবক জানায়, রফিক সর্দার নামে আর এক ব্যক্তি এতে যুক্ত। রফিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ দিকে সুব্রতবাবু নারায়ণকে চিনিয়ে দেওয়ায় নারায়ণের ভাই লাল্টু দাস তাঁকে হুমকি দেয়। লাল্টুকেও গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বালি থানা এলাকায় বেশ কয়েক বার এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই রুখতে প্রাতর্ভ্রমণের জায়গাগুলিতে ভোরে পুলিশি পাহারার কথা বলা হয়। কিন্তু পুজো কাটতে না কাটতেই ফের ছিনতাই হওয়ায় আশঙ্কিত এলাকাবাসীরা। বেশ কিছু বাসিন্দার প্রশ্ন, ঘটনার পরে তাঁরা নিজেরাই যে ভাবে চোর ধরলেন, সেখানে পুলিশ এত চুরির পরেও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না কেন।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তার দাবি, এলাকায় পুলিশি নজরদারি থাকে। কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায়। এ দিনও খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। |