এই উৎসবের মরসুমে নতুন সাজে সেজেছে শ্রীরামপুরের বটতলার অদূরে কোম্পানি পুকুর এলাকা। বাংলা হরফ যাঁর হাত ধরে ভূমিষ্ঠ হয়েছে, সেই পঞ্চানন কর্মকারের ভিটে এই এলাকাতেই। সেই ভিটের কাছেই চিকিৎসক সৌরভ সান্যালের উদ্যোগে পঞ্চাননবাবুর স্মৃতিতে গড়ে উঠেছে স্থায়ী প্রদর্শশালা ‘হরফ’। সম্প্রতি এই প্রদর্শশালা খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। রোজই থাকছে চিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী।
গঙ্গা তীরের শহর শ্রীরামপুরে পঞ্চানন কর্মকারের টুকরো টুকরো স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। প্রদর্শশালার উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, চিত্র প্রদর্শনীতে পঞ্চাননবাবুর সময়কে তুলে ধরতে তাঁরা সচেষ্ট হয়েছেন। একটি বইয়ের সংগ্রহশালা এবং বই বিক্রির ব্যবস্থা করারও তাঁদের পরিকল্পনা রয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। |
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৪০০ বর্গফুটের প্রদর্শশালায় রয়েছে ছবি, ভাস্কর্য, সেমিনার হল, ওয়ার্কশপ এমনকী শিল্পবিষয়ক পঠনপাঠনের ক্ষেত্রও। অন্তত ৫০টি ছবি সচ্ছন্দে স্থান করে নিতে পারে প্রদর্শশালায়। প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছবি বিক্রিরও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রদর্শনীতে থাকছে শিল্পী অম্লান দত্ত, সুজাতা চক্রবর্তী, বরুণ সাহার ছবি। বিশিষ্ট ভাস্কর তাপস সরকারের কাজও স্থান পেয়েছে এখানে। মহালয়া থেকে শিল্পী ওয়াসিম কপূরের ‘দুর্গা’ শীর্ষক প্রদর্শনী চলছে। চলবে কালীপুজো পর্যন্ত। প্রদর্শশালার অন্যতম উদ্যোক্তা চক্ষু বিশেষজ্ঞ সৌরভবাবু বলেন, “ছবি বিক্রি থেকে সংগৃহীত অর্থের একটি অংশ ব্যয় করা হবে উত্তরাখণ্ডের স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত অদ্বৈত আশ্রমের হাসপাতালে দুঃস্থদের চক্ষু চিকিৎসায়। |