গত ২৭ অগস্ট ২০১২ তারিখে আনন্দবাজার পত্রিকার আমাদের চিঠি বিভাগে সবুজবরণ ও সবুজাক্ষ মহাশয়দ্বয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জানাই যে, পার্শ্বশিক্ষক শিক্ষকগণ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ পারদর্শিতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এসএসসি-র দ্বারা শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করেও প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে অনেক শূন্যপদ থাকবে, যা পূরণ করছেন পার্শ্বরা। আমাদের কাছে খবর আছে এবং আমরা নিজেরাও ভুক্তভোগী অনেক পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকা নবম, দশম এমনকী একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতেও বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে পাঠদান করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় করেছেন। আবার কেউ কেউ পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সকল বিষয়েই প্রজ্ঞার সঙ্গে সাবলীল ভাবে পাঠদান করেন। এর ফল স্বরূপ বিদ্যালয়ের প্রধান বা সহপ্রধান শিক্ষক প্রভিশনাল রুটিন করার সময় যে সমস্যার সম্মুখীন হন, তার অনেকটাই প্রশমিত হয় পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকাদের দ্বারা। গত চার-পাঁচ দশক থেকে এস এস সি পরীক্ষা চালু হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির দ্বারা সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হত। সবুজবরণবাবু ও সবুজাক্ষবাবু পরিচালন সমিতির সম্পাদক কর্তৃক নিয়োগ কৃত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিকট পড়াশুনা করে আজ শিক্ষক হয়েছেন। বর্তমানেও সম্পাদকই এস এস সি থেকে আসা শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেন। পরিচালন সমিতির উপর সবুজাক্ষবাবুর এত রাগ কেন? যোগ্যতা যদি থাকে তবে পরীক্ষায় বসে ডি এম হন না। কে বাধা দিচ্ছে? তা হলে ভাঙা ঢোলের শব্দ আর শুনতে হবে না। সমস্ত পার্শ্বশিক্ষকদের অপমান করে উনি একজন প্রকৃত শিক্ষকের মর্যাদা লঙ্ঘন করেছেন। শিক্ষক তিনি! তার কাছে সহমর্মিতা রুচিসম্মত আচরণ ও উন্নত মননশীলতা অভিপ্রেত। আমাদের যদি একটু ভাতা বৃদ্ধি ঘটে তাতে এত দৃষ্টিজ্বালা কীসের? আর যখন সবুজাক্ষবাবুর পরিচালন সমিতির উপর এত রাগ তখন উনি এর অধীনে কোন দুঃখে পড়ে রয়েছেন। সবুজবরণবাবুর জ্ঞাতার্থে জানাই পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা সপ্তাহে ৬ দিনই ক্লাস করেন এবং ২৫ থেকে ৩০টি ক্লাস নেন। তাঁদের সি এল ১২টি, এম এল ৫টি। তাঁরা কোনও মতেই বাড়তি ছুটি উপভোগ করেন না এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজেও তারা বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রাখেন। যা কিছু কিছু ‘চাকরি’ করতে আসা এস এস সি শিক্ষক কখনওই পারবেন না। সবুজবরণবাবু শিক্ষক সুলভ আচরণ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন আর শিক্ষকের মর্যাদা কী কারও নিজস্ব সম্পত্তি? নাকি আমরা সেটা কারও কাছ থেকে ছিনিয়ে নিই? বেশির ভাগ পার্শ্বশিক্ষক বিদ্যালয় তথা সংসারে জড়িয়ে পড়ে এসএসসি-র জন্য সময় পড়াশুনা করার সময় পান না। অনেকে আবার এসএসসি দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফলে পার্শ্বশিক্ষকদের শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে যেটি আর পূরণ হবে না। ফলে বিদ্যালয়ে যে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে তা স্কুল কর্তৃপক্ষ ভালভাবেই জানেন। শিক্ষকরা যে পরীক্ষা দিয়েই আসুন না কেন, তিনি শুধু শিক্ষক তার ভাগ হয় না। তাঁকে বৈষম্যমূলক দৃষ্টি নিয়ে বিচার করা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। প্রকৃত শিক্ষকের মর্যাদা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লড়াই চলবে। বিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাদের সুখে-দুঃখের সঙ্গী হয়ে আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচব। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হোক বা না হোক।
তাপস কুমার দত্ত। পার্শ্বশিক্ষক। পুরুলিয়া।
|
হাওড়া জেলার বাগনান-শ্যামপুর রোডের দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। এই রাস্তার মধ্যে বাগনান ব্লক ২-এর বিডিও অফিস থেকে হোগলাসি মোড় পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার অংশ প্রচণ্ড খারাপ। বাগনান অভিযান ক্লাব থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত মাত্র দেড় কিমি. পথ গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সংস্কার হওয়ার পর কোনও এক অজ্ঞাতকারণে কাজ থেমে গেল। বর্ষায় বাকি রাস্তার যে কী ভয়ঙ্কর অবস্থা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। বৃষ্টি হলেই গর্তগুলিতে জল জমছে। অসংখ্য গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে গর্তে পড়ে। ইটভর্তি লরি গর্তে পড়ে উঠতে পারছে না। ফলে রাস্তায় যানজট হচ্ছে। হাওড়া জেলার মধ্যে শ্যামপুর থানাতেই আছে একশো পাঁচটি ইটভাটা। ফলে ভাটাগুলির ইট, বালি, কয়লা ইত্যাদি বহন করতে প্রতিদিন বহু লরি চলাচল করে। এর পর ৬টি রুটের বাস, পণ্যবাহী লরি, ম্যাটাডর, ম্যাজিক গাড়ি, ট্রেকার, হাজার খানেক অটো, মোটর সাইকেল, সাইকেল ইত্যাদি ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলাচল করে। প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই রাস্তা সংস্কার হোক। বর্ষা তো বিদায় নিল। এখনই রাস্তা মেরামত না হলে সামনে পুজো, কেমন করে উৎসব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে? গত বছর পুজোতেও রাস্তা সংস্কার হয়নি। এ বছর যাতে তা না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে অনুরোধ জানাই।
হিমাংশু দাস, আমড়দহ, হাওড়া।
|
চারিদিকে যখন হাসপাতাল, নার্সিংহোম এবং বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ডাক্তারদের নিগ্রহ, হেনস্থা ও অবিশ্বাস ও অপ্রীতির চিত্র দেখি এবং চোখে আসে ডাক্তারদের দয়ামায়াহীন অমানবিক মুখতখন ২৫ জুলাই, ২০১২ (‘দুর্ঘটনাস্থলে হাসপাতাল সুপার, বাঁচলেন খালাসি’) এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। ভারপ্রাপ্ত সুপার সুদীপ কাঁড়ারকে অভিনন্দন জানাই এবং আশা পোষণ করি, এ ধরনের ডাক্তারদের যেন পুরস্কৃত করা হয়। ২৬ জুলাইয়ের সংবাদপত্রেও ডোমকল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক তারিক আনোয়ার এবং আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায়ের মানবিকতার সংবাদ পরিবেশিত হয়। ওঁরা যে কাজ করেছেন তা মানবিকতার ঊর্ধ্বে। কোনও প্রশংসা দিয়ে তাঁদের ছোট করতে চাই না। এ রকম মানবিক চিকিৎসক যে আজও আছেন, তা যেন আমরা কখনও ভুলে না যাই।
সুব্রত পালিত। অরবিন্দ রোড, হাবরা, উত্তর ২৪ পরগনা
|
গত ২৮ জুলাই, ২০১২ শিশির রায় ‘সবার উপরে টিপছাপ সত্য’ বিষয়টি সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। অপরাধ বিজ্ঞানে এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু ‘সারা জগতে দুটো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যাদের আঙুলের ছাপ অবিকল এক রকম’। এই তথ্য বোধহয় সঠিক নয়।
অরূপকুমার জানা, খেজুরি, পূঃ মেদিনীপুর।
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি, সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১ |
|