স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খান বলেছিলেন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিলে স্থানীয় লোকজন ওই দুষ্কৃতীদের ধরে, পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে
দেবে। মন্ত্রীর হুমকির দু’দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করল পুলিশ।
শুক্রবার তপসিয়া রোড এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালবাবুকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। গ্রেফতার হয়েছে লালবাবুর সঙ্গী আমির, জামাল, সিরাজুল, সোনু, মাধু, রাজা ও শহিদুল আলি নামে আরও ৭ দুষ্কৃতী। পুলিশ জানায়, রবিবার ভোরে লালবাবুর বাসন্তীর বাড়ি থেকে ওই ৮ জনকে ধরা হয়। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে ওই বাড়িতে লুকিয়ে ছিল তারা। তবে ওই দিনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই ওই দিন গুলি চালায় লালবাবুর দল। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বাইপাস সংলগ্ন তিলজলা-তপসিয়া-ট্যাংরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লালবাবু ও ল্যাংড়া শহিদ নামে দুই সমাজবিরোধীর মধ্যে গোলমাল চলছিল। পাশাপাশি, লালবাবুর দলের সঙ্গে মাদক ব্যবসা, বেআইনি পুকুর ভরাট কেন্দ্র করে ল্যাংরা শহিদের দলের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তার জেরেই ওই ঘটনা ঘটে বলে দাবি পুলিশের।
শুক্রবার সকালে তিলজলা ও তপসিয়া থানা এলাকায় তপসিয়া ফার্স্ট লেনে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হন মহম্মদ সাবির, মহম্মদ আশিফ ও মহম্মদ কবিল নামে স্থানীয় তিন যুবক। অস্ত্রোপচার হয়ে গেলেও তাঁরা এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি। সাবিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ ইফতেকার আহমেদ নামে অন্য এক যুবককেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। |