|
|
|
|
মূল্যবৃদ্ধির আঁচ বাঁচিয়েই লক্ষ্মীর আরাধনায় গৃহস্থ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাজার আগুন। প্রতিমা থেকে ফলমূল, ফুল থেকে নৈবেদ্যের উপচার সব কিছুর দামই গত বারের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। তাই লক্ষ্মীপুজোর জোগাড় করতে রবিবার বাজারে বেরিয়ে হিমশিম খেলেন অনেক মধ্যবিত্তই। তবে, উৎসাহে কারও ভাটা পড়েনি।
বসিরহাট শহরের বাজারগুলিতে এক ফুটের লক্ষ্মীপ্রতিমার দাম রবিবার ৩০০-৪০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। মাটির সরার উপরে আঁকা প্রতিমার দাম পড়েছে ৪০-৫০ টাকা। ধুনো কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকায়। একটি লেবুর দাম পড়েছে ১০-১৫ টাকা। আঙুর কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, ছোলা ৬৫-৭০ টাকা, পেয়ারা ৫০ টাকা। পদ্মফুল এমনিতেই এ দিন বাজারে কম ছিল। দাম ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই নামমাত্র উপকরণেই এ বার পুজো করছেন অনেকে।
লক্ষ্মীপুজোর অন্যতম প্রসাদ নারকেল নাড়ু। একটি নারকেলের দাম পড়েছে ২৫-৩০ টাকা। এক কেজি আখের গুড়ের দাম ৪৫ টাকা, চিনি কেজিপ্রতি ৪০-৪৫ টাকা। ফলে, নাড়ু এ বার বহু পুজোর বাড়ি থেকেই উধাও। বসিরহাটের ছোট জিরাফপুর থেকে এ দিন পুরাতন বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন রত্না মণ্ডল, কাকলি দাসদের কথায়, “কী করব, পরিবারের সামান্য আয়। অথচ, লক্ষ্মীপুজো না করলেই নয়। আর এক ক্রেতার বক্তব্য, “পুরোহিতও এ বার বেশি টাকা চাইছেন। এ ভাবে কী লক্ষ্মীর আরাধনা হয়?” যদিও এমন মন্তব্যও শোনা গিয়েছে, “বছরে তো এই একবারই পুজো। তাই দাম নিয়ে ভাবছি না।”
একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনা তো বটেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাজারেও। অবশ্য দাম নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও কেনাকাটার ভিড় উপচে পড়েছে বাজারগুলিতে। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা সোনালি মাইতি, সুমনা মণ্ডলেরা এ বারও পুজোর আয়োজন করেছেন। তাঁরা বলেন, “পুজোর জন্য যে বাজেট নিয়ে বাজারে এসেছিলাম, জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে দেখছি, তাতে কুলোচ্ছে না।” ক্যানিংয়ে লক্ষ্মীপ্রতিমা তৈরি করে বিক্রি করেন অমল পাল। প্রতিমা তৈরি করতে গিয়ে এ বার তিনিও সমস্যায় পড়েছেন। তাঁর কথায়, “প্রতিমার সাজ, শাড়ি সব কিছুর দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বাধ্য হয়েই প্রতিমার দাম বাড়াতে হয়েছে।” বসিরহাট বা ক্যানিংয়ের মতো জিনিসপত্রের দাম নিয়ে একই আক্ষেপ শোনা গিয়েছে অন্যত্রও। |
|
|
|
|
|