লক্ষ্মীপুজোর বাজারে পদ্মের আকাল। যেটুকু মিলছে, তার দামও আকাশ ছুঁয়েছে। পুজোর বাজার করতে গিয়ে তাই জেরবার আম বাঙালি।
মল্লিকঘাট বাজারে এক-একটা পদ্ম বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়। সেই ফুলই যখন গড়িয়াহাট বা মানিকতলা বাজারে আসছে, দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৫-১৬ টাকা। শুধু পদ্মই নয়, মল্লিকঘাটে ফুলচাষি ও বিক্রেতারা জানাচ্ছেন লক্ষ্মীপুজোয় লাগে এমন অন্যান্য ফুল, যেমন রজনীগন্ধা, গাঁদা, দোপাটি অপরাজিতার দামও বেশ চড়া।
প্রতি বছরই লক্ষ্মীপুজোর সময়ে পদ্মের দাম বেশি থাকে। কিন্তু ফুলচাষিরা জানাচ্ছেন, এ বার ছবিটা আরও উদ্বেগের। অন্যান্য বার যেখানে এ সময়ে মল্লিকঘাটে এক-একটা পদ্ম বিকোয় সাত থেকে আট টাকায়, সেখানে এ বার বিকোচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়। |
কেন এই অবস্থা? চাষিরা জানান, বর্ষায় বৃষ্টি কম হওয়ায় নয়ানজুলিতে জল কম ছিল। ফলে ফুল ফুটেছে কম। সেপ্টেম্বরে ভাল বৃষ্টি হলেও পদ্ম চাষে কোনও লাভ হয়নি। যেটুকু পদ্ম ফুটেছে, তা-ও আবার শিশিরে নষ্ট হচ্ছে। ‘সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ নায়েক বলেন, “এখন ভোরে শিশির পড়ছে। এতে পদ্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যান্য বার অক্টোবরের মাঝামাঝি লক্ষ্মীপুজো হয়ে যায়। ফলে শিশিরে পদ্মের এত ক্ষতি হয় না।” রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন নিগমের আধিকারিক শিবাজি রায় বলেন, “এ বার পদ্মের জোগান শুধু কম নয়, যেটুকু পদ্ম পাওয়া যাচ্ছে, তার মানও খারাপ। পাপড়ি কালচে। দাম বেশি দিয়েও মানুষ মনের মতো ভাল মানের পদ্ম পাচ্ছেন না।” লক্ষ্মীপুজোয় অন্যান্য ফুলের দামও বেশ বেশি। হলুদ গাঁদার কুড়িটা মালার দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। দোপাটির দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি। অপরাজিতার দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ফুলচাষিরা জানান, বর্ষার খামখেয়ালিপনার জন্যই এ বার ফুলের দাম এ ভাবে বেড়ে গিয়েছে। |