দমকল কেন্দ্রের জন্য জমি পরিদর্শন
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
দুবরাজপুর শহরে একটি দমকলকেন্দ্র তৈরির জন্য প্রাস্তাবিত জমি দেখে গেলেন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের এক প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর (দক্ষিণ) দীপক সরকার। প্রসঙ্গত, দুবরাজপুর, খয়রাশোল, কাঁকরতলা এবং রাজনগরের কোনও অংশে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সিউড়ির দমকলকেন্দ্রে খবর দিতে হয়। কিন্তু সিউড়ি থেকে ২৫-৮০ কিমি দূরত্বের বিভিন্ন জায়গায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দমকলের ইঞ্জিন সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারে না। তার আগেই ভস্মীভূত হয়ে যায় সব কিছু। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এলাকার মানুষ চাইছিলেন, যেন একটি নতুন দমকলকেন্দ্র দুবরাজপুরে তৈরি হয়। তাহলে আগুন লাগলে তুলনায় আনেক দ্রুত দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি দুবরাজপুর শহরটিও উন্নত পরিষেবা পাবে। দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “গত ২০০৯ সাল থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছিল যাতে এখানে একটি দমকলকেন্দ্র তৈরি হয় এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।” তিনি জানান, পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৯০ শতক একটি জায়গা দেখা হয়েছে। দীপকবাবু বলেন, “সত্যিই এখানে একটি দমকলকেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং পুরসভা যে জায়গা বেছেছে সেটা কেন্দ্র করার অনুকুল। আমার মতামত যথাস্থানে জানাব।”
|
স্কুলে মুক্তমঞ্চ তৈরি করছেন ‘মাস্টারমশাই’য়ের পরিবার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
কোনও সর্বশিক্ষা মিশন নয়, শুধুমাত্র প্রাণের তাগিদেই স্কুল তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ময়ূরেশ্বরের কালীকাপুরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন শিক্ষক প্রয়াত হরিতারণ মণ্ডল। এলাকায় তিনি জনপ্রিয় ছিলেন ‘মাস্টারমশাই’ নামে। ১৯৬৪ সালে প্রধানত হরিতারণবাবুর উদ্যোগে এলাকার তৎকালীন বিডিও প্রয়াত অজিত রায় এবং এলাকার শুভবুদ্ধিসপন্ন মানুষদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৮২ সালে মারা যান হরিতারণ মণ্ডল। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তাঁর অনুরাগ থেমে যায়নি। সেটি তিনি প্রবাহিত করে দিয়েছেন তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে। বর্তমানে ‘মাস্টারমশাই’-এর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই স্কুল চত্বরে তৈরি করা হচ্ছে একটি মুক্তমঞ্চ। গত ২৬ অক্টোবর মুক্তমঞ্চের শিলান্যাসও হয়ে গিয়েছে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা হারাধন মণ্ডল। হরিতারণবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অন্যতম সদস্য তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অপূর্ব মণ্ডল বলেন,“মঞ্চটি তৈরি করতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। পুরো টাকাটাই আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকেই ব্যয় করা হবে। শীঘ্রই নির্মাণের কাজ শুরু হবে।” বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সম্পাদক বীতেন্দু মণ্ডল বলেন, “মঞ্চটি হলে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চারও সুযোগ পাবে।” অনুমতি সাপেক্ষে এলাকার রুচিশীল অনুষ্ঠানগুলিও এই মঞ্চে করা যাবে বলে স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে।
|
ভল্ট ভেঙে চুরি ব্যাঙ্কে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনা ঘটল রামপুরহাট মহকুমায়। শুক্রবার গভীর রাতে ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুরের বাহিনা মোড়ের কাছে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে চুরি হল লক্ষাধিক টাকা। এর আগে দুর্গাপুজোর মধ্যে রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভল্ট ভেঙে ৪ লক্ষেরও বেশি টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এ দিকে, শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাঙ্কের প্রধান দরজার তালা ভাঙা দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এবং ওই ব্যাঙ্কের শাখা প্রবন্ধক ভিতরে ঢুকে দেখেন ভল্টটি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। শাখা প্রবন্ধক অপূর্বকান্তি মিত্র মজুমদার বলেন, “ভল্টে শুক্রবার গ্রাহকদের থেকে সংগৃহীত ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৯৯ টাকা রাখা ছিল। পুরো টাকাটাই দুষ্কৃতীরা চুরি করে পালিয়েছে।” ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্কে নৈশপ্রহরীর ব্যবস্থা ছিল না। নারায়ণপুরের ওই ব্যাঙ্কেও নৈশপ্রহরী নেই। দুষ্কৃতীরা ভল্ট ভাঙার আগে রাতের অ্যালার্ম ও কম্পিউটার ব্যবস্থা বিকল করে দিয়েছিল। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, ‘‘নারায়ণপুরে যে ভাবে ব্যাঙ্কে চুরি হয়েছে মল্লারপুরেও সেই ভাবেও চুরি হয়েছে। আমাদের সন্দেহ দু’টি চুরিই একই দলের কাজ। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।” এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|
একশো ব্লকে ১০০ কোটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
রাজ্যে দুধের জোগান বাড়াতে প্রাথমিকভাবে ১০০টি ব্লককে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। এ বিষয়ে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ ও উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরি বলেন, “ব্লক প্রতি ১ কোটি টাকা করে মোট ১০০ কোটি টাকা এই প্রকল্পে ধার্য করা হয়েছে। রাজ্যের ১০০টি ব্লকে বিশেষ গো-সম্পদ প্রকল্প শুরু হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় গরু প্রাণিপালকদের কাছে রেখেই সরকারি দায়িত্বে লালন-পালন করা হবে। পরে বাছুর হলে তাদের দায়িত্বও নেবে সরকার। তাতে ওই সমস্ত এলাকায় দুধের অভাব মিটবে।” তিনি আরও জানান, “এরপর থেকে রাজ্যের সাড়ে ছ’শ মাদার ডেয়ারি বুথ থেকে জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত সব্জিও পাওয়া যাবে। এর ফলে কৃষকেরা ফসলের নায্য দাম পাবেন। রাজ্যে তাই মাদার ডেয়ারি বুথের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।”
|
খুন-জখম করে পলাতক অভিযুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
বাড়িতে চড়াও হয়ে এক আদিবাসী দম্পতিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার ঘটনা ঘটল বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার আমোদপুর এলাকার কোনার গ্রামে। শুক্রবার রাতের ওই হামলায় মারা যান দুনো টুডু (৪২) নামের ওই বধূ। গুরুতর জখম হন তাঁর স্বামী ভূতনাথ টুড। তাঁকে বোলপুর শিয়ান মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি ওই গ্রামেরই সুব্রত ঘোষ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে। শনিবার ভূতনাথ অভিযোগ করেন, “শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় সুব্রত আমার স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। প্রতিবাদ করায় প্রথমে অশান্তি হলেও পরে তা মিটে যায়। রাত সাড়ে দশটার সময় আমরা বাড়ির উঠোনে বসে ছিলাম। হঠাৎ সুব্রত একটি ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। কোনও কিছু বোঝার আগেই সে আমার ঘাড়ে কোপ মাড়ে। তারপর স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে।” স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় দুনোর।
|
গাছের ডালে সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে থাকা এক প্রৌঢ়ার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার দুবরাজপুরের পছিয়াড়া গ্রামের কাছাকাছি একটি জঙ্গলে দেহটি মেলে। মৃতার নাম সুধন্য বাগদি (৫৯)। বাড়ি দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরীতে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নবমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন প্রৌঢ়া। |