এ বারের পঞ্চায়েত ভোট সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে বামফ্রন্টের মধ্যে কাজিয়া এড়াতে হাতে সময় থাকতেই সিপিএমের সঙ্গে আলোচনা চাইছে দুই শরিক আরএসপি এবং সিপিআই।
কলকাতায় দুই শরিক দলেরই রাজ্য কমিটির বৈঠকেই পঞ্চায়েতে আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে। আরএসপি-র রাজ্য কমিটিতে রবিবার আলোচনায় উঠে এসেছে, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে শাসক পক্ষের সন্ত্রাসের জন্য সর্বত্র প্রার্থী দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকবে না। সিপিএম এবং অন্যান্য বাম শরিক, সকলের জন্যই একই কথা প্রযোজ্য। যে সমস্ত জেলায় প্রার্থী দিয়ে লড়াই করার মতো জায়গায় আছে বামেরা, সেখানে আসন বণ্টন নিয়ে বামফ্রন্টের মধ্যে এবং প্রয়োজনে সিপিএমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করে দিতে চাইছেন আরএসপি নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “আমাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলায় জেলায় আমরা সাধারণ সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তৃণমূল নেত্রীর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থানও সেই সভাগুলিতে আলোচনায় আসবে।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুরে রেলের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষক-সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করায় বালুরঘাটের দলীয় সাংসদ প্রশান্ত মুজমদার এ বারও রাজ্য কমিটিতে কিছু সদস্যের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। প্রশান্তবাবু রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীকে জানিয়েছেন, তাঁর মন্তব্য নিয়ে জলঘোলার দায় সংবাদমাধ্যমের। তবে আরএসপি-র রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছেন, প্রশান্তবাবুর সতর্ক হয়ে মুখ খোলা উচিত।
সিপিআই-ও মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোট শেষ পর্যন্ত যখনই হোক, এ বারের লড়াই কঠিন হবে। রাজ্য পরিষদের বৈঠকে জেলাভিত্তিক পরিস্থিতির খতিয়ান নেওয়ার পরে তাদেরও মত, আসন বাঁটোয়ারা নিয়ে বামফ্রন্টে আলোচনা করে তার পরে জেলা বাম নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হোক। যে সমস্ত এলাকায় বামেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে, সেখানে যাতে শরিকি কাজিয়া তাদের কাজ আরও কঠিন করে না-দেয়, তার জন্যই অবিলম্বে আলাপ-আলোচনা শুরু করার কথা বলছে সিপিআই। |