কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে প্রেমদাসা,৫ টার্নিং পয়েন্ট |
|
বিশ্লেষণে অশোক মলহোত্র
|
• টস: টস হারাটা এক দিক থেকে ভালই হয়েছে। পাকিস্তান ভাল রান তাড়া করে। পরে ব্যাট করলে ওদের সুবিধাই হত। ধোনি জিতলে হয়তো আগে ব্যাট করত।
• সহবাগের ফেরা: ঠিক সিদ্ধান্ত। সহবাগ বাইরে থাকলে ফালতু টেনশন তৈরি হয় ড্রেসিংরুমে। ভারতও খোলা মনে খেলল, সহবাগও।
• টিম কম্বিনেশন: সাত ব্যাটসম্যান, চার বোলারই আদর্শ। আমরা এই কম্বিনেশনেই বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। ব্যাটিং গভীরতা থাকায় ব্যাটসম্যানরা অনেক নিশ্চিন্তে শট খেলতে পেরেছে।
• বোলার যুবরাজ, ব্যাটসম্যান কোহলি: বিশ্বকাপ জেতার পিছনে ছিল যুবরাজের বোলিং। এ দিনও দু’উইকেট নিল। প্রেমদাসার উইকেটের পক্ষে ও আদর্শ বোলার। আর কোহলি তো তরুণ সচিনের মতো ব্যাট করছে।
• পাক ব্যাটিং: একেবারে চাপ নিতে পারল না। তার উপর আফ্রিদিকে তিনে নামিয়ে আরও ভুল করল। ওর জায়গায় ফর্মে থাকা জামশেদ নামলে হয়তো আর একটু বেশি রান হত। |
|
|
বিশ্লেষণে সুব্রত ভট্টাচার্য |
• মর্গ্যানের টোটকা: কোচ মর্গ্যান জেতার তাগিদ ঢুকিয়ে দিয়েছে দলের সবার মধ্যে। আর লাল-হলুদ আবেগ আমদানি করেছে কর্মকর্তারা। অর্ণব মণ্ডলের গোলটাও সেই তাগিদের জোরে।
• চিডির প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ইচ্ছা: এ বারে ইস্টবেঙ্গল টিমে বলা যায় টোলগের বদলি চিডি। টোলগের জায়গায় প্রতিষ্ঠা পাওয়ার তাই আপ্রাণ চেষ্টা করছে ও। ফাইনালে সেই মরিয়া চেষ্টার ফল পাওয়া গেল।
• তিন বছরের ফসল: গত তিন বছরে খুব একটা বদল ঘটেনি ইস্টবেঙ্গল দলে। কোচও সেই মর্গ্যান। টিমটাকে সেট করে নিয়েছে। ফলও পাচ্ছে এখন।
• গ্যালারি পাওয়ার: কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মনে হল হাজার ষাটেক লোক জড়ো হয়েছিল লাল-হলুদের সমর্থনে। এই চাপ গোয়ার ডেম্পোর পক্ষে নেওয়া সম্ভব ছিল না।
• কোলাসোর আত্মতুষ্টি: গত কয়েক বছরে ডেম্পোর ঘরে প্রচুর ট্রফির সঙ্গে আত্মতুষ্টিও ঢুকে পড়েছে। সেটা কোচ আর্মান্দো কোলাসো থেকে ওদের ফুটবলারদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। |
|