ফেড ফাইনাল এক নজরে
কাঞ্চনজঙ্ঘায় যমুনা
ইস্টবেঙ্গল ফেডারেশনের কাপে ফাইনালে উঠেছে আর যমুনা দাস থাকবেন না, এটা হয় না। তাই তো শনিবার রাতেই কলকাতা থেকে ট্রেনে চেপে যমুনা দেবী রওনা হয়েছেন শিলিগুড়ির দিকে। সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। বললেন, “সকালে এসেই টিকিট পেয়েছি। আর চিন্তা নেই। ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত খেলাতেই আমি থাকি। এবারে সব খেলায় শিলিগুড়িতে থাকতে পারিনি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে আর আমি থাকব না, ভাবতে ভাল লাগছিল না। তাই স্বামীকে নিয়ে চলে এসেছি।” তিনি মাঠে লজেন্স বিক্রিও করেন।

টালিগঞ্জ-শিলিগুড়ি
আদতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ফ্যান, কিন্তু ফেডারেশনের কাপ কোনও খেলাই বাদ দেননি তিনি। তিনি কলকাতার টালিগঞ্জের বাসু কুন্ডু। রবিবার সকালেই টিকিট চলে এসেছে তাঁর হাতে। তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গলের সব খেলাতেই আমি থাকি। তাই খেলোয়াড় থেকে কর্মকর্তা সকলেই আমার চেনা। আজ ফাইনালে আমরাই জিতব।”

বউ নিয়ে মাঠে
সকাল থেকে ঘুরে টিকিট পাচ্ছেন না প্রদীপ দত্ত। কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন। দীর্ঘলাইন। দুপুর ১২টা তখন। এই সময় লাইনে দাঁড়ালে টিকিট পাবেন কি না তার নিশ্চয়তা নেই। মহিলাদের লাইনটা ছোট দেখে বাড়িতে ফিরে এলেন। বাড়ি থেকে সঙ্গে করে নিয়ে এলেন স্ত্রীকে। আধ ঘন্টার মধ্যে দুটি টিকিট নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন তাঁরা।

ভিড় গোছাল পুলিশ
টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড় সামলাতে আসরে নামলেন শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ। সকাল থেকে এসিপি প্রদীপ পাল, শিলিগুড়ির আইসি বিকাশ কান্তি দে ভিড় সামলাচ্ছিলেন। দুপুরে ভিড় বাড়তে থাকায় এডিসিপি নিজে চলে যান কাউন্টারের সামনে।

তিন বারে দেড়শো
এক মহিলা তিন বার লাইনে। কি কাণ্ড। ঘটনা জানতে হুমড়ি খেয়ে পড়ল জনতা। মহিলা বললেন, “দিনমজুরি করি। কাজে যাচ্ছিলাম। একজন বলল টিকিট কেটে দিন ৫০ টাকা দেব। তিন বারে ছ’টা টিকিট কেটে দিলাম। ১৫০ টাকা আয় হল,’’ হাঁটা দিলেন বাড়ির পথে।

শুরুর আগেই শেষ
ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হকাররা বিক্রি করছেন ইস্টবেঙ্গলের জার্সি, পতাকা, টুপি থেকে শুরু করে বাঁশি। জার্সি ১২০ টাকা, পটাকা ৩০ টাকা, টুপি ২০ টাকা, বাঁশি ১০ টাকা করে বিক্রি হয়। এক হকার বলে, “মন ভরে গেল। খেলার আগেই সব শেষ করে দিতে পেরেছি।”

‘টিকিট ব্ল্যাকার’ ধৃত
দুপুর আড়াইটা। ফেডারেশন কাপের টিকিট বিক্রি শেষ। হঠাৎ এক কোনে গুঞ্জন। ২০ টাকার টিকিট ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুলিশ ধরে নিয়ে এল এক যুবককে। যুবক কান্না জুড়ে দিয়ে অফিসারের পা জড়িয়ে ধরল। তবুও তাঁকে যেতে হল থানায়।

মাঠে ৩০ হাজার
ফেডারেশনের কাপের ফাইনালে ১৩টি গেট দিয়ে ঢুকবেন দর্শকরা। শিলিগুড়ি ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ খেলা দেখবেন। ১৪টি গেট রয়েছে। ১৩টি গেট দিয়ে দর্শকরা ঢুকবেন।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.