|
|
|
|
শিলিগুড়িতে হয়তো ভারতের ম্যাচ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাঁধ সাজছে মাঠের মধ্যে থাকা ক্রিকেট পিচ। মাসখানেকের মধ্যে তা সরানো গেলেই ফের ফুটবলের মঞ্চ হতে পারে শিলিগুড়িতে। এ বার আর ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নয়। এ বছরই নবি-মেহতাবদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে।
পরিকাঠামো নিয়ে হাজারো সমালোচনাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ফুটবল আবহে মজেছেন ফেডারেশন কর্তারা। এতটাই যে, ১৪ নভেম্বর শিলিগুড়িতে কোভারম্যান্সের দলের ফিফা অনুমোদিত প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে চাইছেন তাঁরা।
ফেড কাপ ফাইনাল শেষ হওয়ার পরেই ফেডারেশন সচিব কুশল দাস এই প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। ফোনে ফেডারেশন সচিব বললেন, “কাঞ্চনজঙ্ঘায় ১৪ নভেম্বর ভারতের ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে গৌতমবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। মাঠের মধ্যে থাকা ক্রিকেট পিচ সরে গেলেই ম্যাচ হতে পারে।” মন্ত্রীও বললেন, “ফেডারেশনের প্রস্তাব এসেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘায় ক্রিকেট কোচিং সেন্টার রয়েছে। আমরা তা সরানোর চেষ্টা করছি।” উৎসাহিত ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রও। “সোমবারই সচিবকে যোগাযোগ করতে বলছি। কাঞ্চনজঙ্ঘায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ করতে সব রকমের সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার।”
নেহরু কাপ জয়ের পরেই জাতীয় কোচ উইম কোভারম্যান্স ভারতকে আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পরামর্শ দেন। তার পরেই উদ্যোগ নেয় ফেডারেশন। ১৬ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে সে দেশে প্রথম ম্যাচ। ১৪ নভেম্বর ফিরতি ম্যাচ ভারতের মাটিতে। সেই ম্যাচই কাঞ্চনজঙ্ঘায় করতে চাইছেন ফেডারেশন কর্তারা।
অতীতে নেহরু কাপের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘায়। বহু বছর পর ফের এবার কেন শিলিগুড়িতে ফেডারেশনের চোখ? যেখানে ক’দিন আগেই মাঠ এবং পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ফুটবলার ও কোচ। সচিবের উত্তর, “উত্তর-পূর্ব ভারতে ফুটবলের প্রসারে শিলিগুড়িকে বাছা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|