|
|
|
|
আজ মরণ-বাঁচন ম্যাচে পূজারাদের সামনে বাংলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক কথায়, ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। আর একটা পদস্খলন মানে চ্যালেঞ্জার থেকে এ বারের মতো ছুটি। আর সোমবার ভারত ‘বি’-কে হারালে? কে বলতে পারে সেক্ষেত্রে ফাইনালের দরজা খুলবে না?
প্রতিপক্ষের বিচারে এস বদ্রিনাথের টিমের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে চেতেশ্বর পূজারার ভারত ‘বি’। মুরলী বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা, উমেশ যাদব, প্রবীণ কুমারের মতো বড় নাম এই টিমেও আছে, কিন্তু বদ্রিনাথের টিমের মতো তারকার ছড়াছড়ি নেই। তবে একই সঙ্গে আবার এটাও ঠিক যে, ভারত ‘এ’-র বিরুদ্ধে যে ভাবে ভাল শুরু করেও দু’শোও পার করতে পারেনি বাংলা, সেটা ভাবাচ্ছে বাংলা অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহাকে। রাজকোট থেকে ফোনে এ দিন ঋদ্ধি বলছিলেন, “আমরা বিশেষ ম্যাচ প্র্যাকটিস না পেয়ে টুর্নামেন্টে নামার জন্য এই জিনিস ঘটেছে, সেটা বলব না। বরং বলব যে, আমরা সে দিন ঠিকঠাক ব্যাট করতে পারিনি। তবে এখনও একটা ম্যাচ বাকি আছে। ফাইনালে আমরা এখনও যেতেই পারি।” যদিও সিএবি-র একটা প্রভাবশালী মহল থেকে বলা হচ্ছে, কোনও ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়া চ্যালেঞ্জারের মতো বড় মাপের টুর্নামেন্টে নেমে পড়ার পরিণতি যে এটা হবে, তা জানাই ছিল। বাংলার নির্বাচক প্রধান এবং অর্ন্তবর্তী কোচ দীপ দাশগুপ্তকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও বললেন, “আউটডোরে প্র্যাকটিস করেছি দু’দিন। কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারলে ভাল তো হতই।”
যা খবর, তাতে চ্যালেঞ্জারের প্রথম ম্যাচে বিপর্যয়ের পরেও টিম বদলাচ্ছে না বাংলার। ওই এক টিমই খেলবে। বাংলার পক্ষে ভাল খবর বলতে, রবিবারের ম্যাচে ভারত ‘বি’-র বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’-র একটু হলেও সুবিধাজক অবস্থায় থাকা। শিখর ধওয়ানের ১৫২ রানের ইনিংসের দাপটে ভারত ‘এ’-র ৫০ ওভারে তোলা ৩৩৫-৪ স্কোরের জবাবে আপাতত ভারত ‘বি’ ২২ ওভারে ১২০-১। বাংলার পক্ষে আরও একটা সুখবর, টিমের অলরাউন্ডার অর্ণব নন্দী এবং পেসার বীরপ্রতাপ সিংহকে মনে ধরেছে পূর্বাঞ্চল নির্বাচক সাবা করিমের। ঘনিষ্ঠমহলে সেটা বলেওছেন। প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান সন্দীপ পাটিল সহ পাঁচ নির্বাচকই এখন রাজকোটে। যা দেখেশুনে বাংলা অধিনায়ক ঋদ্ধিমান বলেও রাখছেন, “মনোজরা না থাকায় তো জুনিয়রদের কাছে টুর্নামেন্টটা বিরাট প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়াল। ভাল খেললেই নির্বাচকদের নজরে পড়তে পারবে ওরা।” |
|
|
|
|
|