পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে ফের উত্তপ্ত হায়দরাবাদ। তেলেঙ্গানাপন্থীদের মিছিলকে ঘিরে আরও এক বার অশান্ত হয়ে উঠল হায়দরাবাদ শহর ও তার আশপাশের বেশ কিছু এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত আজ দুপুরে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তেলেঙ্গানাপন্থী কিছু ছাত্র সংগঠন মিছিলে যাওয়ার দাবিতে ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিশও প্রথমে লাঠি চার্জ করে। কিন্তু পরে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে দেখে এক সময় কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয় পুলিশকে। বেশ কিছু তেলেঙ্গানাপন্থীকে আটকও করা হয়। আসলে তেলেঙ্গানা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির ডাকা এই মিছিল ঘিরে আজ সকাল থেকেই বিস্তর টালবাহানা চলেছে। |
হায়দরাবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। ছবি: এপি |
প্রথমে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল বার করার অনুমতিই দেয়নি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। শেষমেশ কিছুটা তেলেঙ্গানাপন্থী নেতৃত্বের চাপে পড়েই মিছিলের অনুমতি দেয় সরকার। বলা হয় দুপুর তিনটে থেকে সন্ধে সাতটার মধ্যে মিছিল করতে হবে। কিন্তু মিছিলের অনুমতি মেলেনি ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলির। ফলে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বিরোধ বাধে পুলিশের। শুধু ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, খইরতাবাদ ও অন্ধ্র সচিবালয়ের সামনেও গণ্ডগোল বেধেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তেলেঙ্গানাপন্থীরা কিছু সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিল। অগত্যা তাদের ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। আজই হায়দরাবাদ থেকে প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস-সহ মোট ৪০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাস্তায় নামেনি কোনও সরকারি বাসও। তেলেঙ্গানা অঞ্চল থেকে হায়দরাবাদ আসার পথেও চলেছে তল্লাশি। প্রচুর সংখ্যক তেলেঙ্গানাপন্থীকে আগেভাগে আটকও করা হয়। আর এর প্রতিবাদেই মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডির দফতরের সামনে ধর্না দিতে যান তেলেঙ্গানার কংগ্রেস মন্ত্রীরা। |