গত বছরের মতো এ বারও সাধারণ ভাবে ডুয়ার্স ও তরাইয়ের ১৪৩টি চা বাগানের শ্রমিক-কর্মচারীরা ২০% হারেই বোনাস পাবেন। ৩৬টি বাগানের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানে ১০ থেকে ১৬% হারে বোনাস মিলবে। রবিবার কলকাতায় দিনভর বাগান মালিক ও ইউনিয়নগুলির মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ২০১০ সাল থেকেই সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বোনাস দিয়ে আসছে মালিকপক্ষ।
চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন কনসাল্টেটিভ কমিটি অফ প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিসিপিএ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল মনোজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, “আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত বাগানেই বোনাসের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।” বিরূপ আবহাওয়া-সহ বিভিন্ন কারণে ৩৬টি বাগানের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানে বোনাসের হার কম রাখার আর্জি ইউনিয়নগুলি মেনে নেওয়ায় তাঁরা খুশি। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ২৫।
এই সিদ্ধান্তে খুশি পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর সভার সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়, অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কমিটি অফ ট্রেড ইউনিয়ন্স-এর সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বসু প্রমুখ। ডিফেন্স কমিটির আহ্বায়ক সমীর রায়, আরএসপি নেতা গোপাল প্রধান, মোর্চার চা বাগান শ্রমিক নেতা হরিহর আচার্য বলেন, “মালিকরা দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা খুশি।” সপ্তাহ দু’য়েক আগে বোনাস নিয়ে একটি বৈঠক হলেও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি।
এ দিকে, পরিবর্তনশীল মহার্ঘ ভাতার দাবি তুলেছে ইউনিয়নগুলি।
এ নিয়ে ৮ অক্টোবর কলকাতায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইউনিয়নের দাবি, অন্য পেশার মতোই মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাগানেও তা চালু করতে হবে। মালিকপক্ষের পাল্টা যুক্তি, মজুরি ছাড়াও বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই রেশন-সহ বিভিন্ন বাড়তি সুবিধা কর্মীদের দেওয়া হয়। যদিও ইউনিয়নের অভিযোগ, তা মহার্ঘ ভাতার সমতুল নয় এবং এই সুবিধা আগের মতো সবাই পান না। |